প্রযুক্তি

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম Online Certificate Correction BD

আপনি যদি আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য । আমাদের মাঝে অনেকে সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য দিয়ে বিপাকে পড়ে যায় । এই ভুল তথ্য বলতে নিজের নাম ভুল আসতে পারে, পিতার বা মাতার নাম ভুল আসতে পারে। এই তথ্য সংশোধনের জন্য অনেক সময় স্যারের কাছে বা নিজ শিক্ষাবোর্ড বরাবর যোগাযোগ করতে হয় ।

Online Certificate Correction BD

Online Certificate Correction
অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম |Online Certificate Correction BD

কিন্তু বর্তমানে দেশ ডিজিটাল হওয়ার কারনে আপনি ঘরে বসেই সার্টফিকেট সংশোধন করতে পারবেন। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিভাবে অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারবেন এই নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম :

আপনার সার্টিফিকেটে যদি নিজের নামের বানান অথবা আক্ষরিক ভুল , কিংব পিতা মাতার নামের ভুল আসে তাহলে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হবে। আপনি যে কোন বোর্ডের অধীনসস্থ হন না কেন সব প্রায় একই নিয়মে
সংশোধন করতে পারবেন। সার্টিফিকেট সংশোধনের আগের নিশ্চিত হয়ে নিবেন আপনার সার্টিফিকেটে কি কি ভুল আছে। আপনার সার্টিফিকেটের যদি নাম সংশোধন করতে চান তালে নিচের সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ধাপগুলো অবলম্বন করতে হবে।
১ । সর্বপ্রথম আপনি কোন কোন বোর্ড এর নাম পরিবর্তন করতে চান তার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
২। আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন যে কোন মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধন করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
৩। স্কুল বা কলেজ থেকে আবেদন পত্রটি ফরওয়ার্ড করে নিতে হবে।
৪। নতুন সার্টিফিকেট ও অন্যান্য ডকুমেন্ট কপি উত্তোলনের জন্য আপানকে আবার পূর্বের মত আবেদন ফি দিতে হবে।
৫। কিছুদিন পর আপনার ডকুমেন্ট তৈরি হলে বোর্ড এ যেয়ে পুরাতন ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র দিয়ে নতুন সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে ?

সাধারনত অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করে হাতে আসতে অনেক দিন সময় লেগে যায় । এই পুরো প্রক্রিয়াকে দুইভাবে ভাগ করা যায়। সর্বপ্রথম আপানার তথ্য সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে । এই তথ্য সংশোধন হতে প্রায় এক মাস থেকে দেড় মাস সময় লেগে যেতে পারে । তবে শিক্ষাবোর্ড থেকে বলা আছে যে ছয় মাসের মধ্যেকাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম প্রকিয়া সম্পন্ন হলে দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু হয় ।

দ্বিতীয় ধাপে নতুন সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন করতে হয় । এই কাজটি সমাধান হতে আবারও কিছুদিন সময় লাগে। এই প্রক্রিয়াতে প্রায় ১৫ দিন থেকে ১ মাস সময় লাগতে পারে। অতএব , সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম এই প্রক্রিয়াটি পুরো সম্পন্ন হতে প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।

সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট বা কাগজ লাগবে

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন নিয়ম জানার পর জানতে হবে কি কি কাগজ বা ডকুমেন্ট লাগবে । আমরা এই অংশে এই সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব।


১। আপনি যদি নিজের নাম সংশোধন করতে চান তাহলে আপনার নিজের ইংলিশ ভার্সনের সঠিক জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি লাগবে।
২। পিতা বা মাতার নাম সংশোধনের জন্য তাদের ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি লাগবে।


সাধারণত সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য প্রত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি , নোটারি বা এফিডেভিট করা প্রয়োজন নেই। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এফিডেভিট বা নোটারি পাবলিকেশন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া লাগতে পারে । আর উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলির পিডিএফ আকারে জমা করতে হবে।

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য শিক্ষাবোর্ডগুলির ওয়েভসাইট

নিচে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম মাদরাসা বোর্ড, সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম কুমিল্লা বোর্ড, সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম চট্টগ্রাম বোর্ড, সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম যশোর বোর্ড,সার্টিফিকেট সংশোধন সিলেট বোর্ড এ আবেদন করার জন্য ওয়েবসাইট এড্রেস দেওয়া হলো:

মাদরাসা বোর্ডঃ efiling.ebmeb.gov.bd/index.php/eservice

কুমিল্লা বোর্ডঃ web.comillaboard.gov.bd/bisecb

চট্টগ্রাম বোর্ডঃ web.bise-ctg.gov.bd/bisectg

যশোর বোর্ডঃ app.jessoreboard.gov.bd/index.php/name

সিলেট বোর্ডঃapplication.sylhetboard.gov.bd/index.php/online

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম এর বাহিরে রয়েছে বরিশাল বোর্ড এবং দিনাজপুর বোর্ড ।এদের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আপনাকে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের নিকট বা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েভসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। তবে অন্যান্য বোর্ডের সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েভসাইটে আবেদন করতে পারবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ঢাকাবোর্ড:

অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম জানার জন্য যে সকল শিক্ষাবোর্ড আবেদন ফর্ম জমা নিচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ড এর জন্য নিয়ম দেখাব। নিচের ধাপগুলো অনসরণ করে আপনি ঢাকা বোর্ডের সার্টফিকেট সংশোধন করতে পারবেন।

  • প্রথমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নিচের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ।
    • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা
  • সেখানে আপনি আপনার অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন নামে একটি অপশন খুঁজে পাবেন। সেই অপশটিকে ক্লিক করুন।
  • এরপর আপনি আরও কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন অপশনটিতে ক্লিক করবেন।

  • আবেদন ফর্ম বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ আসবে যে কোনো একটি পরীক্ষার (জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি) রোল, রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষার বছর সাবমিট করে তথ্য যাচাই করবেন।
  • এখন আপনার সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের জন্য একটি আবেদন ফর্ম ওপেন হবে। এই ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে সাবমিট করবেন। সার্টিফিকেট সংশোধন ফর্ম
  • আপনি জেএসসি, এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নাম সংশোধন করতে পারবেন। উদাহরণ স্বরুপ, মনে করুন আপনি এইচএসসি পাশ করেছেন তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে জেএসসি, এসএসসি,এইচএসসি এই তিনটি পরীক্ষার জন্যে একসাথে অথবা যে কোন দুইটি বা একটি পরীক্ষার জন্য নাম সংশোধন করতে পারবেন। এরপর আপনি কোন পরীক্ষার জন্য নাম সংশোধন করবেন সেটা ঠিক করুন।
Online Certificate Correction
অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম |Online Certificate Correction BD
  • এক্ষেত্রে সব পরীক্ষার জন্য নাম সংশোধন করাই উত্তম হবে।
  • এখন আপনি কোন পরীক্ষার নাম সংশোধন করবেন তার পাশের বক্সে ক্লিক করুন। যেমন আপনি প্রথমে জেএসসির তথ্য দিয়েছেন আর তিনটি পরীক্ষার জন্যই নাম সংশোধন করতে চাচ্ছেন।
  • তাহলে এখন শুধু এসএসসি এবং এইচএসসি পাশের বক্সে ক্লিক করুন। এরপ্র দেখবেন আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ইনফরমেশনগুলো চলে আসছে।
  • আপনি যদি শুধু নিজের নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে NAME এ ক্লিক করুন। আর যদি পিতার নাম অথবা মাতার নাম নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে ওই দুইটি পাশে দুটি অপশন
  • (FATHER, MOTHER)এ ক্লিক করুন। এখানে অন্য আরেকটা অপশন আছে সেটি হচ্ছে ডেট অফ বার্থ (DOB)। পরে এই অপশনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
  • আপনি যা সংশোধন করতে চাচ্ছেন তা সঠিকভাবে পূরণ করুন। আবেদন ফরমে আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে । কেননা মোবাইল নম্বর অনেক গুরুত্বপূর্ণ,
  • পরবর্তীতে এই মোবাইল নাম্বারে আপনাকে সকল মেসেজ দেওয়া হবে।

  • এখন আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। সব ডকুমেন্ট কিন্তু পিডিএফ আকারে আপলোড করতে হবে। আপনি যদি শুধু নিজের নাম পরিবর্তন করতে
  • চান তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন এর অনলাইন কপি( ইংলিশ ভার্শন) দিতে হবে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন এ আপনার সঠিক নামটি অবশ্যই থাকতে হবে। আবার মাতার নাম বা পিতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে পিতা-
  • মাতার NID এর পিডিএফ কপি সাবমিট করতে হবে।
  • আপনি আবেদন ফর্মে দেওয়া তথ্যগুলো ভালো করে দেখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। আপনার সাবমিট বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে একটি ম্যাসেজ পাবেন।

  • এই মেসেজে আপনাকে একটি আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।
  • এরপর যখন আপনি আবেদন সাবমিট করলেন তখন ওয়েবসাইটে আপনার জন্য একটি প্রোফাইল তৈরি হবে এবং আপনি আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার আবেদন এর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
  • আপনি যে আবেদন করেছেন তার একটি অনলাইন কপি পাবেন। আপনি যে যে পরীক্ষার জন্য এবং যা সংশোধন করবেন তা উল্লেখ থাকবে। এখানে Print

  • নামের একটি অপশন পাবেন। সে জায়গাইয় ক্লিক করে এটি ডাউনলোড করে নিজের কাছে যত্ন করে রাখুন, পরবর্তীতে কাজে লাগবে। এরপর আপনাকে আবেদন ফি দিতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

সার্টিফিকেট সংশোধদন ফি অনলাইন অথবা অফলাই দুইভাবেই জমা দিতে পারবেন। আপনি আপনার আবেদন কপিতে সোনালী স্লিপ নামে একটি অপশন দেখতে পারবে। সেই অপশনটিতে ক্লিক করলে আবেদন ফি জমা দেয়ার সর্বমোট তিনটি অপশন দেখতে পারবেন। অপশন তিনটির হলো ব্যাংকের মাধ্যমে,মোবাইল ব্যাংকিং এবং কার্ড এর মাধ্যমে। আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা দিতে চান তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা কার্ড এর মাধ্যমে যে কোন
একটি অপশন সিলেক্ট করে টাকা জমা দিতে পারবেন। টাকা জমা দেয়ার পর জমা দেয়ার পর স্লিপটি ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখবেন।

আপনি যদি অফলাইনে টাকা জমা দিতে চান তাহলে সোনালী ব্যাংকে যেয়ে টাকা জমা দিতে পারবেন। জেনে রাখা ভাল ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন ফি ৫০০ টাকা এবং এর চার্জ ৫৮ টাকা প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক থেকে রশিদের
একটি অংশ আপনার কাছে দেওয়া হবে । টাকা জমা দেওয়ার পর সার্টিফিকেট সংশোধনের আবেদন প্রত্রটি আপনার স্কুল অথবা কলেজে চলে আসবে । এরপর আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন প্রত্রটি
ফরওয়ার্ড করে নিবেন।

স্কুল কিংবা কলেজ থেকে ফরওয়ার্ড করানো

আপনার আবেদন প্রক্রিয়াতি সম্পন্ন করতে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন প্রত্রটি ফরওয়ার্ড করে নিতে হবে । আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর এর সাথে কথা বলে তার থেকে ফরওয়ার্ড করে নিবেন। আবেদন পত্রটি ফরওয়ার্ড করার পর আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করলে আবেদন প্রক্রিয়াধীন দেখাবে। আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপনাকে ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। তবে আশা করা যায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যাবে।এর থেকে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

সংশোধিত সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন করার নিয়ম

সার্টিফিকেট সংশোধন আবেদন করার পর এখন আবার সংশোধিত সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের জন্য আবার আবেদন করতে হবে। পূর্বের কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আপাকে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। এর পর আপনি আপনার আবেদন প্রোফাইলে প্রবেশ করলে print order নামে একটি বাটন দেখতে পারেবেন ।

সেই বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করলে আপনি আপনার সংশোধিত সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। ডাউনলোড পিডিএফ কপিতে আপনি সংশোধন করা হল উল্লেখ থাকবে।

আপনি যদি আপনার সংশোধিত কাগজপত্র পুনরায় নতুন করে তুলতে চান তাহলে আপনাকে আবার আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি যে যে সার্টিফিকেট নতুন করে তুলতে চান প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে
হবে । আবেদন করার জন্য পূর্বের সার্টিফিকেট print order এ আপলোড দিতে হবে । এর সাথে অন্যান্য কাগজপত্র চাইলে সেইগুলিও আপলোড করে দিবেন ।

FAQ:সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সংক্রান্ত আরও কিছু প্রশ্নঃ-

আমার স্কুল ও কলেজ ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডের অধীনে এক্ষেত্রে আমি কি ভাবে সংশোধন করব ?

আপনি যদি ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডেরে অধীনে আপনারা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন তাহলে কোন সমস্যা নাই । আপনি সার্টিফিকেট সংশোধন নিয়ম এর মাধ্যমে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারেবেন । প্রথমে আপনি আপনার পরীক্ষা যে বোর্ড এর মাধ্যমে সম্পন্ন করছেন সেই বোর্ড সিলেক্ট করে বাকি কাজ করতে । উপরে যে নিয়ম আলোচনা করা হয়েছে সেই ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পত্রিকাতে কি বিজ্ঞাপন দিতে হয়?

সাধারনত সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য প্রত্রতিকাতে কোন বিজ্ঞাপন দিতে হয় না । তবে বিশেষ প্রয়োজনে বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগতে পারে । এক্ষেত্রে আপনার ৫০০ টাকা মত খরচ লাগতে পারে।

সার্টিফিকেট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

সাধারনত সার্টিফিকেট সংশোধনের খরচ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আপনি যদি অনলাইনে সংশোধনের কাজ সম্পন্ন করেন তাহলে এক খরচ ।আবার সরাসরি সার্টিফিকেট সংশোধন করলে আরেক খরচ।আর যদি দালালদের মাধ্যমে করেন তাহলে আরও বেশি খরচ পড়বে। তাই আপনি যদি নিজে নিজে অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম মেনে কাজগুলো করেন তাহলে খরচ সেভ করতে পারবেন। তাই বিভিন্ন খাতে সম্ভাব্য খরচ এর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল।
১/ সাধারনত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগে না তবে বিশেষ ক্ষেত্রে লাগতে পারে । এই খাতেখরচ ৫০০ টাকা বা কিছু বেশি হতে পারে।
২/ এফিডেভিট খরচ লাগে ৫০০ টাকা।
৩/ আবেদন ফি ৫৫৮ টাকা প্রতিটি আলাদা সার্টিফিকেটের জন্য। সুতরাং, আপনাকে এসএসসি এবং এইচএসসি সনদপত্র সংশোধন করতে মোট ১১১৬ টাকা।
৪/ সার্টিফিকেট উত্তোলন জন্য ফি আবেদন ফি এর সমান। এক্ষেত্রেও আপনাকে মোট ১১১৬ টাকা দিতে হবে।
তাহলে সর্বমোট খরচ ৩৫০০ টাকার মতো। তবে বিভিন্ন বোর্ডের হিসেবে খরচ এর কম বেশি হতে পারে।

সার্টিফিকেট সংশোধন ফরম কোথায় পাব ?

আপনি চাইলে অনলাইন থেকে সার্টিফিকেট সংশোধদনের ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবেন । বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বিষয়ক এই https://forms.gov.bd ওয়েবসাইটিতে সকল আবেদন ফর্ম পাওয়া যায়। আপনার সকল ফর্ম এই ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।

সার্টিফিকেটে কি বয়স সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায়?

আপনি যেমন সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারবেন তেমনি আপনার বয়সও সংশোধন করতে পারবেন । অনলাইন থেকে যত সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম মেনে সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করতে পারবেন বয়স সংশোধন করতে তত সহজে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু জামেলা পোহাতে হবে।

আপনি যদি সার্টিফিকেট এ বয়স সংশোধন করতে চান তাহলে প্রথমে আপনার জন্ম জন্ম নিবন্ধনের তারিখ সংশোধন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে আর জন্ম নিবন্ধন পরিবর্তন করতে পারবেন না।যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন এবং সার্টিফিকেট এর বয়সে পার্থক্যে কম বা বশি থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধনের কপি নিয়ে শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে আপনি চাইলেই শিক্ষাবোর্ডের সরাসরি যোগাযোগ করে কাজটি সেরে নিতে পারেন। সেজন্য সনদপত্র সংশোধন চার্জ পরিশোধ করে সঠিকভাবে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

শেষ কথা

আজকে আমরা অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে আবেদন করা যাবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ।সেই সাথে অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার বিভিন্ন নিয়ম সমূহ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারাঅনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক আশা করি আজকে আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার আপনাদের বন্ধু বা পরিচিত জনদের সাথে শেয়ার করবেন । আপনার একটি শেয়ারে হয়তো তাদের অনেক উপকার হবে । আরও কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button