প্রযুক্তি

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নতুন আপডেট

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক লোক সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নিয়ে কাজের জন্য সৌদি আরব পারি জমায়। করোনার কারনে দীর্ঘ সময়  কোম্পানি ভিসা বন্ধ ছিল । করোনা মহামারীর পর আবার এই  ভিসা চালু হয়েছে।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার নতুন আপডেট-২০২২
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার নতুন আপডেট-২০২২

আজকে আমারা এই আর্টিকেলটিতে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা ,সৌদি আরবের ভালো কোম্পানি তালিকা ,সৌদি আরবের কোন কাজের চাহিদা বেশ,সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার খরচ,সৌদি আরবের ফ্রি ভিস,সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করব ।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা

সৌদি আরবে কাজ করার জন্য ঐ দেশের বিভিন্ন কোম্পানি ভিসা দিয়ে থাকে , সেই ভিসাকে মূলত কোম্পানি ভিসা বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অনেক লোক আছে , যারা প্রায়ই অনলাইনে সার্চ করে জানার চেষ্টা করে থাকেন সোদি আরব কত ধরনের ভিসা দেয় , সেই ভিসাগুলি আবেদনের নিয়ম কি । আমরা আপনাদের এই সম্পর্কে জানাবো।

সৌদি আরবে  কোম্পানি ভিসা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের  ভিসা রয়েছে। যেমন-

  • হজ্ব ভিসা
  • স্টোডেন্ট  ভিসা
  • ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
  • সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা ইত্যাদি।

সৌদি আরবের ভালো কোম্পানি তালিকা

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদনের শুরুতেই জানতে হবে কোন কোম্পানিতে কেমন সুযোগ সুবিধা ।আরও জানতে হবে কোন কোম্পানি ভাল আর কোন কোম্পানি ভাল নয়। একটি ভালো কোম্পানি তার শ্রমিকদের ভাল বেতন ভাতা ও সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।

আর কোম্পানি ভালো না হলে আপনি সুযোগ সুবিধা তো পাবেন না পাশাপাশি বেতন ভাতা ও সিকিউরিটি নিয়ে জামেলা হতে পারে ।তাই আজকে আমরা আপনাদের কিছু ভাল কোম্পানির তালিকা দিব ।যাতে তার মধ্য থেকে আপনার টার্গেটের কোম্পানির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন। কোম্পানিগুলি কবে ভিসা দিবে তার খোঁজ নিতে সুবিধা হবে ।

আল মারাই কোম্পানিঃ
আল মারাই কোম্পানিটি কেবল সৌদি আরব নয় সারা বিশ্বের নামকরা কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এই কোম্পানি কাজ করতে যায় ।বিশষ করে বাংলাদেশ ,ভারত ও পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক এই কোম্পানিতে কাজ করতে আসে।

এই কোম্পানি তার শ্রমিকের জন্য বাসস্থান ও আকামা কোম্পানি নিজেই দিয়ে থাকে । এই কোম্পানির বেতন হয় সাধারণত ১০০০ রিয়াল থেকে ১২০০ রিয়াল।তাছাড়াও প্রত্যেক বছরে দুই মাসের ছুটি ও ওভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি এই কোম্পানিতে ওভারটাইম ডিউটি করে অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরামকো কোম্পানি:

আরামকো কোম্পানি হচ্ছে সৌদি আরবের তেল পরিশোধন কোম্পানি। এটি কেবল সৌদি আরব নয় বিশ্বের ধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি।আরামকো কোম্পানিটি প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ নানা দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে।এই কোম্পানির প্রধান সুবিধা হচ্ছে এই জায়গায় যে বেতন পাবেন,যা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

এরাবিয়ান কন্সট্রাকশন কোম্পানিঃ

এই কোম্পানিটি একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানি । কোম্পানির শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ১৫০০রিয়াল থেকে ১৬০০রিয়াল হয়ে থাকে। খাবার বাদে সবকিছু কোম্পানি বহন করে থাকে । আর ৮ ঘন্টা পর ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ থাকে।

উপরে উল্লেখিত কোম্পানিগুলি ছাড়াও সৌদি আরবে আরও কিছু সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি রয়েছে যারা প্রতিবছর কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ? মালয়েশিয়া কলিং ভিসা

সৌদি আরবের কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ভিসা ও ফ্রি ভিসায় প্রচুর লোক সৌদি আরব যায় । ঐ ভিসাগুলি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা দিয়ে থাকে।তাই আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি । সৌদি আরবে প্রধানত নির্মাণ শ্রমিকদের চাহিদা অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।এরপর হোটেল ম্যানেজম্যান্ট কাজের চাহিদা রয়েছে।

এছাড়াও টেকনিক্যাল কাজগুলোর অনেক গুরুত্ব রয়েছে ,ইলেক্ট্রিক্যাল,অটো মোবাইল,পাইপ ফিটার,ফ্রিজ ,এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি কাজের চাহিদার পাশাপাশি ভাল মানের বেতন পাওয়া যায়। আপনি যদি সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা এর মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনার পছন্দ মত কাজ শিখে রাখা উচিত।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার খরচ

বাংলাদেশ থকে সৌদি আরব গ্রমন করতে হলে আপনার সৌদি আরবের ভিসা প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা উচিত। আজকে আমাদের এই আর্টেকেলটিতে সৌদি আরবর কোম্পানি ভিসা প্রসেসিং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি ক্যাটেগরির ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে।
যেমনঃ

আলেম মঞ্জিল ভিসা এবং সাখাওয়াত আকাশ সাওয়াখাছে আপনার মোট খরচ হবে প্রায় ১,২৫,০০০ /(এক লক্ষ পচিঁশ হাজার )থেকে 1,৩0,000/- (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা।

আরও পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক (সৌদি,দুবাই ও কাতার) করুন

ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং এর খরচ হবে প্রায় ৬০,০০০/(ষাট হাজার )টাকা ।
খাদ্দামা ভিসার জন্য খরচ হবে প্রায় ১,১০,০০০/ (এক লক্ষ দশ হাজার ) টাকা।
এ ছাড়া আলেম ভিসা প্রসেসিং খরচ হবে প্রায় ৬৫,০০০/(পয়ষট্টি হাজার )টাকা ।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসার খরচ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেলেনর ।যেহেতু ভিসাগুলো আলাদা সেহেতু তাদের কিছু আলাদা সুবিধা ও অসুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। তাই ভিসায় আবেদনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ভাল ভাবে জেনে শুনে সিদ্ধান্ত  নিতে হবে ।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা

আমাদের দেশের লোকজন সাধারণত সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা নিয়েই ঐ দেশে যেয়ে থাকে । আর আপনি যদি সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা নিয়ে যান তবে সেই ভিসাকে
ফ্রি ভিসা বলা হবে। এই ফ্রি ভিসা আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে ।
(১) প্রফেশনাল এবং
(২) নন পফেশনাল
সাধারণত প্রফেশনাল ভিসায় আকামা খরচ বেশি লাগে । প্রোফেশনাল ভিসার ক্ষেত্রে আকামা খরচ হবে দশ হাজার টাকা লাগবে । অন্যদিকে নন প্রফেশনাল ভিসার ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা খরচ লাগবে।

ফ্রি ভিসার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সুবিধা ও সুবিধা রয়েছে । তাই আপনি যদি সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা বা ফ্রি ভিসায় যেতে চান , যাওয়ার আগে অবশ্যই এই সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নিবেন।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের নিয়ম

আপনাদের মাঝে অনেকে জানতে চেয়েছেন সৌদি আরবে মূলত কি কি ভিসা দিয়ে থাকে ও সেই ভিসাগুলোর আবেদনের সঠিক নিয়ম কী?এই অংশে আমরা সৌদি আরবের ভিসার ধরন ও আবেদনের নিয়ম এবং খরচ সম্পর্কে জানব।
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা ছাড়াও আরও অনেক ভিসা দিয়ে থাকে । সেগুলো হলো ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, হজ্ব ভিসা ও সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদনের জন্য আপনার প্রায় ২০,০০০(বিশ হাজার ) রিয়াল খরচ হবে যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৪৫হাজার টাকার মত। সৌদি আরব কোম্পানি ভিসায় আবেদনের জন্য এজেন্সির সাহায্যের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোকে কিছু অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। তবে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে এই  লিংক এ ক্লিক  করুন।

অনলাইন ভিসা আবেদন ফর্ম

উপরের বাটনটিতে ক্লিক করলে আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। সেই ফর্মটি সঠিকভাবে ফর্মটি পূরনের মাধ্যমে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক বিশ্বস্থ মিডিয়া আছে যারা আপনাকে স্বল্প মূল্যে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা প্রোসেসিং এর জন্য সহযোগিতা করে থাকে ।আর আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের পরামর্শ থাকবে এ ধরনের কোন একটি মিডিয়ার মাধ্যমে ভিসা আবেদন করার ।

শেষ কথাঃ

আজকের এই পোষ্টটিতেসৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে এর পাশাপাশি বিস্তারিত  তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি । আশাকরি এই পোষ্টটি আপনাদের অনেক উপকারের এসেছে । আর সৌদি আরবের  ভিসা সম্পর্কে কোনো পরামর্শ বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখে জানাবেন আমারা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব এবং এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের বা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button