সিস্টেম সফটওয়্যার কি? সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য

সুপ্রিয় পাঠক/ পাঠিকা! আপনি কি জানেন, সিস্টেম সফটওয়্যার কি? কম্পিউটারে সিস্টেম সফটওয়্যার কেন ব্যবহার করা হয়? এই ধরনের প্রশ্ন দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন অদ্য আলোচনার বিষয় হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়ে। বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত কম্পিউটার ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটারের সকল কার্যক্রম অচল। তাই প্রযুক্তির কল্যাণে আবিষ্কার করা হচ্ছে নতুন নতুন সফটওয়্যার। এর ফলে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন মাত্রা। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে সিস্টেম সফটওয়্যার কাকে বলে এবং সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সিস্টেম সফটওয়্যার কি
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কম্পিউটারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এক অপরের পরিপূরক। একটি ছাড়া অন্যটি সম্পূর্ণ অচল। একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। সিস্টেম সফটওয়্যার তাদের মধ্যে অন্যতম। কেননা এই সফটওয়্যারটি অন্য সকল সফটওয়্যারের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন প্রশ্ন হলোঃ সিস্টেম সফটওয়্যার কি? উত্তর হলোঃ যে সকল সফটওয়্যার কম্পিউটার সিস্টেম পরিচালনা বা তার সমস্ত কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ এবং কম্পিউটারকে বিভিন্ন কমান্ড দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় তাদেরকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। সিস্টেম সফটওয়্যার এর উদাহরণ হলোঃ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম।
সিস্টেম সফটওয়্যার কোডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। সফটওয়্যারের প্রকার এবং কাজের উপর ভিত্তি করে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজগুলি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত C/C++, Assembly Language, Python, Java ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে সিস্টেম সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হয়ে থাকে।
সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি
কম্পিটারের হার্ডওয়্যার পরিচালনার জন্য সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও ইউজারের মাধ্যমে ইন্টারফেজ তৈরি করে সমস্ত কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধনের সফটওয়্যারের তৈরি করা হয়। কম্পিউটারের সকল সফটওয়্যারকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ সিস্টেম সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
আজকে মূলত সিস্টেম সফটওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে সিস্টেম সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি জেনে নেওয়া যাক। সিস্টেম সফটওয়্যারকে প্রধানত ৫প্রকারে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমনঃ
১) অপারেটিং সিস্টেম
২) ডিভাইস ড্রাইভার
৩) ফার্মওয়্যার
৪) অনুবাদক (ট্রান্সলেটর)
৫) ইউটিলিটি
এখন সিস্টেম সফটওয়্যারের প্রকাভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব। চলুন তাহলে শুরু করি।
১) অপারেটিং সিস্টেমঃ যে সকল সফটওয়্যার কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং ইউজারের মধ্যে ইন্টারফেজ তৈরি করে কম্পিউটারের সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই সকল সফটওয়্যারকে অপারেটিং সফটওয়্যার বলে। অপারেটিং সফটওয়্যারগুলি কম্পিউটারের বহিঃস্থ ডিভাইসগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কয়েকটি অপারেটিং সফটওয়্যারের নাম হচ্ছেঃ MS Windows, Android, MacOS, iOS এবং Linux ইত্যাদি।
২) ডিভাইস ড্রাইভারঃ ডিভাইস ড্রাইভার হলো উচ্চ পর্যায়ের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা সৃষ্ট সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ডিভাইসের কমিউনিকেশনের মাধ্যমে তাকে অপারেটিং করে। ডিভাইস ড্রাইভার সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্ডোজ দেওয়ার সাথে ইন্সট্রল করতে হয়। এর মাধ্যমে কম্পিউটারের গ্রাফিক্স সুন্দর থাকে এমনকি এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের কাজের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েকটি ডিভাইস ড্রাইভার সফটওয়্যারের নাম হলোঃ BIOS Driver, Display Driver, Sound Card Driver, USB Driver এবং Printer Driver ইত্যদি।
৩) ফার্মওয়্যারঃ যে সকল সফটওয়্যার কম্পিউটার তৈরির সময় অস্থায়ী মেমোরিতে স্থায়ীভাবে সেট করে দেওয়া হয় সেই সকল সফটওয়্যারকে ফার্মওয়্যার সফটওয়্যার বলে। ফার্মওয়্যার সফটওয়্যারগুলি সেমিকন্ডাক্টর পদার্থ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এই ধরনের সফটওয়্যারে কোন সমস্যা হলে পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যায় না। কয়েকটি ফার্মওয়্যার সফটওয়্যারের নাম হলোঃ BIOS, UEFI, Embedded Systems, Computer, Peripherals, Computer Applications ইত্যাদি।
৪) অনুবাদকঃ কম্পিউটার শুধু বাইনারি সংখ্যা ০ এবং ১ বুঝতে পারে। বাইনারি ছাড়া অন্য ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম বুঝতে পারে না। তাই অন্য ভাষার প্রোগ্রামকে কম্পিউটারকে বোধগম্য করার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ভাষায় ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে অনুবাদক সফটওয়্যার বলে। সুতরাং বলে পারি, অনুবাদক সফটওয়্যার হলো এমন একটি সফটওয়্যার যা উৎস (Source) প্রোগ্রামকে বস্তু (Object) প্রোগ্রামে পরিণত করে কম্পিটারকে বোধগম্য করতে সাহয্য করে। তবে অনুবাদ করার সময় উৎস (Source) প্রোগ্রামের যদি কোন ভুল থাকে তা সংশোধনের জন্য টেস্টিং ডিভাগিং এর মাধ্যমে তা সমাধান করে নেওয়া হয়।
অনুবাদক প্রোগ্রামকে আবার ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
ক) কম্পাইলার (Compiler): কম্পাইলার হলো এক ধরণের অনুবাদক সিস্টেম সফটওয়্যার যা উচ্চ স্তরের ভাষার উৎস প্রােগ্রামকে সরাসরি কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করে। কম্পাইলারের মাধ্যমে C, C++, Go, Fortran, Cobol, Java ইত্যাদি হাই লেভেল ভাষার উৎস প্রােগ্রামকে বস্তু প্রােগ্রামে অনুবাদ করে। কম্পাইলারের সুবিধা হচ্ছে একবার কম্পাইল করা হলে পরবর্তী আর কম্পাইল করতে হয় না।
খ) ইন্টারপ্রেটার (Interpreter): ইন্টারপ্রেটারও কম্পাইলারের মত উচ্চ স্তরের ভাষার উৎস প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করে। তবে ইন্টারপ্রেটার উৎস প্রােগ্রামকে লাইন টু লাইন অনুবাদ করে মেশিন ভাষায় রুপান্তর করে। ইন্টারপ্রেটারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য মেমোরিতে কম জায়গা লাগে।
গ) অ্যাসেম্বলার (Assembler): যে সিস্টেম সফটওয়্যার অ্যাসেম্বলি বা নেমোনিক কোডকে কম্পিউটারের ভাষায় রুপান্তর করে তাকে অ্যাসেম্বলার বলে। অ্যাসেম্বলারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে সাংকেতিক ভাষাকে অতি সহজেই মেশিনের ভাষায় রুপান্তর করতে পারে।
৫) ইউটিলিটিঃ ইউটিলিটি সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের অন্যতম সিস্টেম সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার কম্পিউটারকে বিভিন্ন ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। কম্পিউটারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে এই সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও ইউটিলিটি সফটওয়্যারটি File Management, File Compression এবং Backup And Recovery ইত্যাদি কাজ করে থাকে। ইউটিলিটি সফটওয়্যারের উদাহরণ হলোঃ WinRAR, Winzip, Avast, AntiVirus, Piriform CCleaner এবং Directory Opus ইত্যাদি।
সিস্টেম সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য
সিস্টেম সফটওয়্যার হল কতগুলো প্রোগ্রামের সেট যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের গঠন, কার্যকালাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে থাকে। এই সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কম্পিউটারকে বিভিন্ন ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। সফটওয়্যারের এই অন্যন্য বৈশিষ্ট্যটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার থেকে পার্থক্য করেছে। এছাড়াও এই সফটওয়্যারের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন তাহলে সিস্টেম সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য গুলি জেনে নেওয়া যাকঃ
১) Programming languages: সিস্টেম সফটওয়্যারে LOW LEVEL এর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে কম্পিউটারের রেজিস্টার বা মেমোরিকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও কম্পাইলার, ইন্টারপ্রেটার বা অ্যাসেম্বলার এর মাধ্যমে উৎস প্রােগ্রামকে মেশিন প্রোগ্রামে রুপান্তর করা যায়। এতে কম্পিউটারের CPU বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না।
২) Complexity: সিস্টেম সফটওয়্যারের ভাষা তুলনা মূলকভাবে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ভাষা থেকে Complexity বেশি। তবে অ্যাসেম্বলার মাধ্যমে অ্যাসেম্বলি বা নেমোনিক কোডকে খুব সহজেই মেশিন ল্যাংগুয়েজে রুপান্তর করা যায়।

৩) Usage: সাধারণত সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের সকল কার্যাবলি পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই কম্পিউটারে সিস্টেম সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
৪) High Speed: অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের থেকে সিস্টেম সফটওয়্যারের স্পিড অনেক বেশি। তাই অল্প সময়ে সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে অধিক কাজ করা যায়।
৫) Install: সিস্টেম সফটওয়্যার ইন্সট্রল করা খুবই সহজ। কম্পিউটারে যখন অপারেটিং সফটওয়্যার ইন্সট্রল করা হয় তখন সিস্টেম সফটওয়্যার ইন্সট্রল হয়ে যায়। তাই সিস্টেম সফটওয়্যার ইন্সট্রলের জন্য আলাদা কোন জামেলা পোহাতে হয় না।
৬) Size: সাধারণত সিস্টেম সফটওয়্যারের আকার তুলনামূলক ছোট হয়ে থাকে। তাই মেমোরি বা রেজিস্টারে অল্প জায়গাতেই এই সফটওয়্যার অবস্থান করতে পারে।
৭) Dependency: সিস্টেম সফটওয়্যার পরিচালনার জন্য আলাদা কোন সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না। এটি এপ্লিক্যাশন বা অপারেটিং সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই পরিচালিত হতে পারে। এমনকি এই সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে পরিচালনা করতে সাহায্য করে থাকে।
৮) Movement: এই সফটওয়্যারকে কম্পিউটারের প্রস্তুতের সময় মেমোরির সাথে স্থায়ীভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এর নড়াচড়া করা নিয়ে আলাদা কোন ঝামেলা নেই।
৯) Manipulation: সিস্টেম সফটওয়্যার এর অসুবিধা হচ্ছে একে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন।
১০) Security: সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারকে এন্টিভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে। এর ফলে কম্পিউটার ডেটা চুরির হাত থেকে রক্ষা পায়।
সিস্টেম সফটওয়্যার এর নাম
কম্পিউটার পরিচালনার জন্য সফটওয়্যারের প্রয়োজন। আমাদের অনেকের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকলেও সিস্টেম সফটওয়্যার সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। কম্পিউটারে বাইরে থেকে বার আলাদাভাবে সিস্টেম সফটওয়্যারের কোন ইন্সট্রল করার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইন্সট্রলেশন এর সময় অটোমেটিক্যালি সিস্টেম সফটওয়্যারের ইন্সট্রল হয়ে যায়। তবে সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাজ করতে পারে না। তাই কম্পিউটার পরিচালনার মূলে রয়েছে সিস্টেম সফটওয়্যার।
যেহেতু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইন্সট্রল করার সময় সিস্টেম সফওয়্যার ইন্সট্রনল হয়ে যায়, সেহেতু সিস্টেম সফটওয়্যার ভিন্ন হতে। তাই সিস্টেম সফটওয়্যার এর নাম অনেকটাই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের উপর নির্ভর করে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে বহুল প্রচলিত কয়েকটি সিস্টেম সফটওয়্যারের নাম দেওয়া হলোঃ Microsoft Word, Microsoft Word, ClickUp, Mozilla Firefox, Skype, Windows Media Player, Ubuntu, iOS, Android ইত্যাদি।
সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ
সুপ্রিয় পাঠক/ পাঠিক, উপরোক্ত আলোচনায় মাধ্যমে নিশ্চয়ই সিস্টেম সফটওয়্যার কি এবং এর নাম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। সিস্টেম সফটওয়্যার সমগ্র কম্পিউটারের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রন করলেও এর ইন্সট্রলেশন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের উপর নির্ভশীল। একজন ইউজার কি ধরণের কাজ করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে এর উপর ভিত্তি করে সিস্টেম সফটওয়্যারে ইন্সট্রল হয়। তাই অনেকে ধারণা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের কাজই মূলত সিস্টেম সফটওয়্যারের কাজ। তবে এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা নয়। এছাড়াও এই সফটওয়্যারটি কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করে থাকে। চলুন তাহলে সিস্টেম সফটওয়্যার এর কাজ গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
১) রিসোর্স ম্যানেজমেন্টঃ সিস্টেম সফটওয়্যার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।
২) প্রসেস ম্যানেজমেন্টঃ সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার এর প্রসেসর ম্যানেজমেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৩) নিরাপত্তাঃ কম্পিউটারকে বিভিন্ন ভাইরাস থেকে নিরাপত্তা দেওয়া সিস্টেম সফটওয়্যার এর অন্যতম কাজ।
৪) ল্যাংগুয়েজ ম্যানেজমেন্টঃ সিস্টেম সফটওয়্যার লো লেভেলের ল্যাংগুয়েজ কে হাই লেভেলের ল্যাংগুয়েজে রুপান্তর করে।
৫) ইনপুট আউটপুট ফাংশনঃ ইপুট আউট ফাংশন নিয়ন্ত্রণে সিস্টেম সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
৬) মেমোরি ম্যানেজমেন্টঃ সিস্টেম সফটওয়্যার মেমোরি ম্যানেজমেন্ট করে।
৭) ফাইল ম্যানেজমেন্টঃ এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফাইল ম্যানেজমেন্ট করা যায়।
৮) ডিস্ক ম্যানেজমেন্টঃ ডিস্ক ম্যানেজমেন্টে সিস্টেম সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সিস্টেম সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করে
প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে, সিস্টেম সফটওয়্যার কিভাবে তৈরি করে। আপানাদের অনেকের ধারণা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরাই সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
আপনার যদি প্রোগ্রামিং এর কোর কন্সেপ্ট সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে এ কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে। সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য প্রথমেই সি/সি++ প্রগ্রাম সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। এরপর প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হিসেবে জাবাস্ক্রিপ্ট অথবা পিএইচপি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই সব ভাষা রপ্ত করেন তাহলেই সিস্টেম সফটওয়ার তৈরি করতে পারবেন। আপনি ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করে রিকয়ারমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
শেষকথাঃ
সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পূর্বে সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার করা হত। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সমস্যাগুলি থেকে পরিত্রান পেতেই সিস্টেম সফটওয়্যারের আবিষ্কার। তাই আজকে আর্টিকেলটিতে সিস্টেম সফটওয়্যার কি এবং এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।