প্রযুক্তি

সার্বিয়া বেতন কত ও সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ( নতুন আপডেট )

দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের একটি দেশ হচ্ছে সার্বিয়া । প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রচুর লোক পাড়ি জমায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে সার্বিয়া কাজের ভিসা ,সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়,সার্বিয়া বেতন কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও সার্বিয়া বেতন কত
সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় ও সার্বিয়া বেতন কত

সার্বিয়া কাজের ভিসা

সার্বিয়া হচ্ছে ইউরোপের একটি নন সেনজেন্টভুক্ত দেশ । সার্বিয়া থেকে সহজই ইতালি যাওয়া যায়। যারা ইউরোপ যেতে চান তাদের এটি তাদের গোল্ডেন অপুরচোনিটি । তাই অনেকে প্রথমে সার্বিয়া কাজের ভিসা নিয়ে সার্বিয়া যান । এরপর আস্তে আস্তে ইউরোপের পছন্দের দেশগুলিতে যান। আপনারা যারা সার্বিয়া যেতে অবশ্যই কাজ শিখে যাবেন এতে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। সার্বিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য কর্মী নেয়া হয়ে থাকে , তবে কেউ দক্ষতা ছাড়াও সার্বিয়াতে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেতন ও সুবিধা কম পাবেন। নিচে সার্বিয়া কাজের ভিসা ধরন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।

সার্বিয়া কাজের ধরন

সম্প্রতি সার্বিয়া সেনজেন্টভুক্ত দেশ হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । তাই অনেকে সার্বিয়া কাজের ভিসা নিয়ে সেখানে পাড়ি জমাতে চায় । এই দেশটিতে বর্তমানে যে সব কর্মীর চাহিদা রয়েছে সেগুলো হলঃ
১। কনস্টাকশন ওয়ার্কার
২। জেনারেল লেভার
৩। হাউস কিপার
৪। ক্লিনার
৫। ওয়েটার
৬। ফার্মার

৭। ইলেক্টেশিয়ান

সার্বিয়া বেতন কত ?

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সার্বিয়াতে কাজের বেতন অনেক বেশি । তবে সার্বিয়া বেতন কত হবে এটা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর । আপনি তাদের সাথে কি রকম কাজ করছেন ; কি
রকম দক্ষতা প্রদর্শন করছেন এগুলির উপর নির্ভর করে । আর কনস্টাকশনের জন্য আপনি সর্বনিন্ম ৫০,০০০টাকা পাবেন। আপনি এর থেকে বেশি টাকা পাবেন যদি ওভারটাইম করেন। আপার কাজের স্কিল যদি তাদের ভাল লাগে তাহলে আপনাকে বেতন ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ায় দিবে। তাই সার্বিয়া বেতন কত হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর ।

সার্বিয়া যেতে যে সব ডকুমেন্ট লাগবে

আপনাদের মাঝে অনেকে জানতে চান সার্বিয়া যেতে কি কি ডকমেন্ট লাগবে । তাই আপনাদের সবিধার্থে সার্বিয়া যেতে যে সব ডকুমেন্ট লাগবে তা নিচে দেওয়া হলঃ
১। সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার পর সার্বিয়া যেতে সর্বপ্রথম আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে । পাসপোর্টির কমপক্ষে ১ বছর মেয়াদ থাকতে হবে। আপনি এই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন ।
২। করোনা ভাইরাসের যে টিকাগুলি দিয়েছে তার ফাস্ট ডোজ , সেকেন্ড ডোজ , থার্ড ডোজের সার্টিফিকেট লাগবে।
৩। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি লাগবে।
৪। মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।
৫। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছয় কপি ছবি লাগবে।

৬। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।

৭। ইউরোপিয়ান ইস্টাইলে সিভি এন্ড কভার লেটার।

সার্বিয়া কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

আপনি ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যেমে সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তাহলে চলুন সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার নিয়ম জেনে নেই ।
ধাপ১ঃ সার্বিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য আপনি এই https://www.immigrationua.com/serbia-work-permit/ লিংকে প্রবেশ করুন। এই লিংটিতে প্রবেশ করার পর নিচে ছবিটির মত একটি পেজ আসবে যেখানে লেখা আছে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ।

সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম
সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম


ধাপ২ঃ এই পেজটি ভাল করে পড়ে নিবেন । কেননা পেজটিতে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য ডকুমেন্ট আকারে দেয়া আছে।
ধাপ৩ঃ এরপর পেজটি নিচের দিকে যাবেন তাহলে আমাদের দেয়া ছবির মত এরকম একটি পেজ পাবেন।

সার্ভিয়া ওয়ার্ক পারমিট এজেন্সি
সার্ভিয়া ওয়ার্ক পারমিট এজেন্সি

ধাপ৪ঃ পেজটির 1 YEAR WORK PERMIT এর নিচে Get Started বাটনটিতে ক্লিক করবেন।
ধা৫ঃ বাটনটিতে ক্লিক করার পর অন্য একটি পেজ আসবে । সেখান থেকে আর একটু নিচে নামলে একটি ফর্ম পাবেন।

সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন ফর্ম
সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন ফর্ম


ধাপ৬ঃ ফর্মে আপনার নাম, ইমেল নাম্বর , ফোন নাম্বার , দেশ , ম্যাসেজ অপশনটি যাথাভাবে পূরণ করুন।
ধাপ৭ঃ ফর্মটি সকল তথ্য প্রদান করা হলে ক্যাপচাটি পূরণ করে সাবমটি বাটনে ক্লিক করে সার্বিয়া কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
এভাবে উপরের ধাপগুলি মেনে আপনি খুব সহজেই সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে পারবেন।

সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

বর্তমানে সার্বিয়াতে শ্রমিক সংকট । তাই সার্বিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রচুর শ্রমিক লাগবে। তবে আমাদের অনেকে জানেন না কিভাবে সার্বিয়ার কাজের ভিসা পাওয়া যায়। তাই আজকে আমারা আপনাকে
সার্বিয়ার ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।মূলত সার্বিয়াতে দুটি উপায়ে কাজের ভিসা পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে সরকারিভাবে ও অন্যটি এজেন্সির মাধ্যমে । আসুন তাহলে সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই ।

  • সরকারিভাবে সার্বিয়ার ভিসা পাওয়ার উপায়ঃ আপনি সার্বিয়ার https://www.immigrationua.com/serbia-work-permit/ প্রবেশ করে আমাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সার্বিয়া কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করবেন । এরপর সার্বিয়ার নিয়োগকর্তা যাচাই বাচাই করে সিলেক্ট করবে । সিলেক্ট করার পর ইনটারভিউ এর জন্য ইস্কাইপিতে বা অন্যকোন অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ নিবেন। এই ইন্টারভিউতে আপনি যদি সিলেক্ট হন তাহলে সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ ইমেলে মাধ্যমে সার্বিয়া কাজের ভিসা পাঠিয়ে দিবে। এরপর সার্বিয়ার এম্বাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এভাবে আপনি কম খরচে সরকারিভাবে সার্বিয়া যেতে পারবেন।

  • এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়া ভিসা পাওয়ার উপায়ঃবাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্সি সার্বিয়া কাজের ভিসায় লোক পাঠায় । আপনি চাইলে এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়া যেতে পারবেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়া যেতে অনেক টাকা লাগবে। আবার অনেক এজেন্সি টাকা নিয়ে ভিসা করে দেয় না। এক্ষেত্রে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে চান তাহলে ভালভাবে তথ্য নিয়ে ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

সার্বিয়া কাজের ভিসার সুবিধা

পুরুষ বা মহিলা যাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে যে কোন দেশের নাগরিক সার্বিয়া কাজের ভিসা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সার্বিয়া যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে টি আর বা টেম্পোরারি রেসিডেন্ট কার্ড পাবেন। পিআর বা পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড পেতে সময় লাগবে ৫ বছর । আপনি যদি সার্বিয়ার পি আর পেয়ে যান নাগরিকত্বের পাশাপাশি নিজ দেশ থেকে ফ্যামিলিকে সার্বিয়া নিয়ে যেতে পারবেন। সার্বিয়াতে আপনাকে প্রতিদিন ৮ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৫দিন কাজ করতে হবে। আপনি যদি এর থেকে বেশি সময় কাজ করেন তাহলে আপনার সার্বিয়া বেতন কত অনেকগুন বেশি পাবেন।

মন্তব্যঃ

আজকের এই পোষ্টটিতে সার্বিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে এর পাশাপাশি সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়,সার্বিয়া বেতন কত আরও অনেক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি । আশাকরি এই পোষ্টটি আপনাদের অনেক উপকারের এসেছে । আরসার্বিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে কোনো পরামর্শ বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখে জানাবেন আমারা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব এবং এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের বা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button