প্রযুক্তি

বেলারুশ কাজের ভিসা – বেলারুশ কাজের বেতন ও ভিসা আবেদনের নিয়ম বিস্তারিত

আমাদের অনেকে জীবিকার সন্ধানে দেশ ছেড়ে বিদেশ কাজের জন্য পাড়ি জমায় । বর্তমান সময়ে বেলারুশ কাজের ভিসা নিয়ে অনেকে এই দেশটি যেতে ইচ্ছুক । কিন্তু বেলারুশ এর ভিসা ও বেলারুশ কাজের বেতন ও ভিসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায়।

তাই বেলারুশে যাওয়া ,ভিসা , কাজের বেতন ও ভিসা আবেদন নিয়ে বিস্তারিত জানাতে এই আর্টিকেলটি লিখছি । বেলারুশের ভিসা সংক্রান্ত সকল ধারণা পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন …

বেলারুশ কাজের ভিসা -বেলারুশ কাজের বেতন ও ভিসা আবেদনের নিয়ম বিস্তারিত
বেলারুশ কাজের ভিসা -বেলারুশ কাজের বেতন ও ভিসা আবেদনের নিয়ম বিস্তারিত

বেলারুশ কাজের ভিসা

বর্তমান সময় বেলারুশ কাজের ভিসা বাংলাদেশসহ ও অন্যান্য দেশের লোকের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিছে । বেলারুশ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজের জন্য প্রতি বছর থেকে লোক নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। আমাদের মধ্যে যারা বেলারুশ যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা । আজকে মূলত বেলারুশ কাজর ভিসায় যেতে যে সকল সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে এই সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করাব । চলুন বেলারুশে কাজ এর ভিসা , কাজের ধরন , বেতন ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই ।

বেলারুশ দেশ কেমন

বেলারুশ এক সময় রাশিয়ার প্রদেশ ছিল। বর্তমানে রাশিয়া থেকে সম্পূর্ণরুপে স্বাধীন ও আলাদা হয়ে গেছে । দেশটির এক তৃতীয়াংশ অরণ্য , হ্রদ ও জলভূমিতে পূর্ণ সমতল ভূমির দেশ ।এখানে প্রায় ৩ হাজার নদী ও ৪ হাজার হ্রদ রয়েছে যা দেশটির ভূগোলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বহন করে । বেলারুশের সরকারি নাম হচ্ছে বেলারুশ প্রজাতন্ত্র ।

বেলারুশ ভিসার ক্যাটেগরি

বেলারুশে আপনারা কয়েকটি ক্যাটেগরিতে যেতে পারবেন। সেগুলি হচ্ছেঃ
১। স্টুডেন্ট ভিসা
২। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
৩।ট্যুরিস্ট ভিসা
আপনার এই কয়েকটি ভিসার মাধ্যমে খুব সহজেই বাংলাদেশ বা মিডেলিস্ট কান্টি থেকে বেলারুশ যেতে পারবেন।

বেলারুশ কাজের ধরন

১। কনস্টাকশন ওয়ার্কার
২। জেনারেল লেভার
৩। হাউস কিপার
৪। ক্লিনার
৫। ওয়েটার
৬। ফার্মার

বেলারুশ কাজের বেতন কত

আপনি যদি বেলারুশ কাজের উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 35 হাজার থেকে 60 হাজার টাকা পর্যন্ত। আর যদি আপনি শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখাতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন আরো বেশি হবে।


আর ইংরেজিতে দক্ষতা থাকলে আপনার বেতন 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত অথবা এর থেকে বেশি হতে পারে। তাই বেলারুশ যাওয়ার পূর্বে আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারেন তাহলে আপনার বেতনের পাশাপাশি আরও অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আপনি যদি মূল কাজের সময়ের বেশি সময় অর্থাৎ ওভারটাইম কাজ করেন তাহলে এই বেতন আরও বেড়ে যাবে। সাধারণত ৮ ঘন্টা কাজ করার পর আরও কয়েক ঘন্টা ওভারটাইম হিসেবে কাজ করা যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা ওভারটাইম করেন তাহলে আপানার বেতন ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মত আসবে।

আরও পড়ুনঃ সার্বিয়া বেতন কত ও সার্বিয়া কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়

বেলারুশ কাজের ভিসায় যাওয়ার উপায়

আপানারা যারা বেলারুশ যাওয়ার উপায় নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য চিন্তার অবাসানের ঘটাতে এই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখছি । আমাদের অনেকে বেশারুশ কাজের ভিসায় যেতে চায় কিন্তু সঠিক উপায় না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে । আপানাদের চিন্তার কোন কারন নেই । বেলারুশ যেতে হলে আপনি তিনটি উপায়ে যেতে পারবেন। এর যে কোন একটি উপায়ে বেলারুশ যেয়ে কাজ করতে পারবেন। উপায় তিনটি হলঃ

১। সরকারিভাবে বেলারুশ যাওয়ার উপায়ঃ বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেকে লোক বেলারুশ কাজের জন্য পাড়ি জমায় । সরকারিভাবে বেলারুশ যেতে টাকা কম লাগে । এতে এজেন্সির কোন জামেলা পোহাতে হয় না। তবে সরকারিভাবে বেলারুশ যাওয়ার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমায়াদী প্রক্রিয়া। প্রথমে আপনাকে সরকারিভাবে আবেদন করতে হবে । এরপর আপনার কাজের দক্ষতা যাচাই বাচাই করে আপানার অ্যাপয়েন্ট লেটার দেয়া হবে। এই অ্যাাপয়েন্ট লেটার দিয়ে আপনি অতি সহজেই বেলারুশ কাজের জন্য যেতে পারবেন।

২। এজেন্সির মাধ্যমে বেলারুশ যাওয়ার উপায়ঃ বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ লোক এজেন্সির মাধ্যমে বেলারুশ পাড়ি জমায় । কেননা এজেন্সি ঐ দেশের কোম্পানিগুলির সাথে যোগাযোগ করে অতি দ্রুত লোক পাঠাতে পারে। অনেক সময় এজেন্সি জটিলতা সৃষ্টি করলেও এজেন্সির মাধ্যমে বেলারুশ যাওয়া অতি সহজ মাধ্যম ।

৩। অনলাইনের মাধ্যমে বেলারুশ যাওয়ার উপায়ঃ আমাদের অনেকে জানেনই না যে অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে বেলারুশ যাওয়া যায়। আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল পড়ছেন তাদের জন্য এটা অন্যতম উপায় হতে পারে। সাধারনত অনলাইনে বেলারুশ কাজের ভিসায় যেতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় । এরপর আপনার কাজের দক্ষতার প্রমাণ স্বরুপ বিভিন্ন কাজপত্র দেখাতে হয়। আপনি যদি তাদের নেওয়া সক্ষাত এ সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন তাহলেই কেবল আপনি বেলারুশ কাজের ভিসার জন্য মনোনীত হবেন।

বেলারুশ কাজের ভিসা খরচ

বেলারুশ কাজের ভিসা খরচ কত হতে পারে তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল । কেননা আপনি কি ধরনের ভিসায় বেলারুশ যাচ্ছেন ও আপানার বেলারুশ যাওয়ার মাধ্যম কি এর উপর নির্ভর করবে বেলারুশ যেতে কত টাকা লাগবে ।

যেমন ধরেন আপনি যদি সরকারিভাবে বেলারুশ যান তাহলে খরচ একটু কম লাগবে । আর যদি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বেলারুশ কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে খরচ এক্টু বেশিই পরবে। তবে বেলারুশ যাওয়ার খরচ সম্পর্কে একটি আইডিয়া দিতে পারি । আপনারা যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে বেলারুশ যান তাহলে ৫০০০০০ থেকে ৬০০০০০ টাকা লাগতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ? মালয়েশিয়া কলিং ভিসা

বেলারুশ কাজের ভিসা যেতে যে সব ডকুমেন্ট লাগবে

আপনারা যারা বেলারুশ কাজের ভিসায় যেতে ইচ্ছুক ,যদি বেলারুশ যেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে এই সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকে তাহলে নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুত করে নিতে পারবেন। আপনাদের বেলারুশ যাওয়ার অনেকটা পথ সহজ হয়ে যাবে। তাই আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বেলারুশ যেতে যে সব ডকুমেন্ট লাগবে তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১। বেলারুশ কাজের ভিসা পাওয়ার পর সার্বিয়া যেতে সর্বপ্রথম আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে ।
২। করোনা ভাইরাসের যে টিকাগুলি দিয়েছেন তার ফাস্ট ডোজ , সেকেন্ড ডোজ , থার্ড ডোজের সার্টিফিকেট লাগবে।
৩। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি লাগবে।
৪। মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে।
৫। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছয় কপি ছবি লাগবে।
৬। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগবে।

৭। একটি পূর্ণাঙ্গ সিভি লাগবে ।

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা নতুন আপডেট

বেলারুশ কাজের ভিসা আবেদন

আপনাদের অনেকে বেলারুশ যাওয়ার মনস্থির করলেও বেলারুশ কাজের ভিসা আবেদন করা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। কেননা অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বহারা হয়ে যায় । অনেকে ভিটে মাটি বিক্রি করে বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যায় । তাই কাজের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

নানা জটিলতা এড়াতে সরকারি এজেন্সির সহয়তায় বেলারুশ যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করা যেতে পারে। আপনি যদি সরকারি এজেন্সির সহযোগিতায় বেলারুশের ভিসার আবেদন করেন তাহলে দালালের জামেলা থেকে বেচে যাবেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য উপায়গুলি থেকে সরকারি মাধ্যমে খরচ কম লাগে । সরকারিভাবে বেলারুশ যেতে পারলে ভিসা ও কাজের ধরন অনেকটা সিকিউর থাকে।

বেলারুশের ভাল কোম্পানি তালিকা

বেলারুশ কাজের ভিসা পেতে আপনি নিচের কোম্পানি গুলির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই কোম্পানিগুলি বেলারুশের সবচেয়ে ভাল কোম্পানি । যারা প্রতিবছরই বিভন্ন সময় লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে ।আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে এই কোম্পানিগুলির সাথে যোগাযোগ করে বেলারুশ যেতে পারবেন।

Grodno Azot
Minsk Motorcycle
Minsk Automobile
Minsk Kristall

মন্তব্যঃ

আজকের এই পোষ্টটিতে বেলারুশ কাজের ভিসা সম্পর্কে এর পাশাপাশি কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়,বেলারুশ কাজের বেতন কত আরও অনেক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি । আশাকরি এই পোষ্টটি আপনাদের অনেক উপকারের এসেছে । আর বেলারুশ কাজের ভিসা সম্পর্কে কোনো পরামর্শ বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখে জানাবেন আমারা আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব এবং এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের বা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button