গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়, লক্ষণ ও ব্যায়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক,আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হচ্ছেঃ গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় নিয়ে। ছোট, বড় সকল বয়সের মানুষের প্রধান সমস্যা গ্যাস্ট্রিক। কিন্তু আপনি যদি নিচের উপায়গুলি অবলম্বন করেন, তাহলে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাই গ্যাস্টিকের লক্ষণ, কমানোর উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগসহকারে পড়ুন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করা উপায়
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও ভাজাপোড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দয়ী। যেহেতু এই সমস্যাটি রাতারাতি দেখা দেয় না তেমনি রাতারাতি দূর করাও সম্ভব নয়। তবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলি মেনে চললে অল্প সময়ে মুক্তি পাওয়া যাবে।

বুকের ব্যাথা, জ্বালাপোড়া অথবা বিভিন্ন কারনে পেটে ব্যাথা হওয়া গ্যাস্ট্রিকের প্রধান লক্ষণ। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান প্রথমেই আপনাকে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া পরিহার করতে হবে। লাইফ স্টাইল, খাওয়া দাওয়ায় কিছু পরিবর্তনই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক দূর করা উপায় অনুসন্ধান করার পূর্বে গ্যাস্ট্রিক কি, কেন হয় এবং এর লক্ষণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।
গ্যাস্ট্রিক কি
সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বলতে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের সমস্যাকে বুঝায়। খাবাবের আগে বা পড়ে যদি যদি বুক জ্বলাপোড়া, পেটব্যাথা হলে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে। অনেক সময় খালি পেটে থাকার পর পেট গলা দিয়ে গ্যাস উঠতে দেখা যায়। পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সিক্রেশনের পরিমাণ বেড়ে যায়।
দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভোগতে থাকলে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এর মত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। খাবারে আগে পড়ে যদি পেট জ্বালাপোড়া, বুকে ব্যাথা অনুভূত হলে বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত। আবার অনেক সময় পেট ভরা থাক সত্ত্বেও পেটে ভুর ভুর শব্দ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা যদি আপনার শরীরে প্রকাশ পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে।
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ
যে কোন রোগের লক্ষণ প্রকাশের মাত্রই উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহনের মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব। গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রেও এর কোন ব্যতিক্রম নয়। তবে গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ বক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। কারও ক্ষেত্রে শুধু একটা দুটি লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে একজন ব্যক্তির দেহে যে সব লক্ষণ থাকলে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ বলে বিবেচিত তা নিচে দেওয়া হলঃ
১। গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলির অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে পেট ফাপ লাগা, পেটে ব্যাথা হওয়া এবং মাঝে মাঝে খাবারের পর টক ঢেকুড় আসা।
২। কখনো বমি বমি ভাব হওয়া এমনকি মুখ ভর্তি বমিও হতে পারে।
৩। গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে পায়খানা ঠিকমত না হওয়া।
৪। ক্রমাগতভাবে পেটে ব্যাথা।
৫। উপরের পেটে ঠিক মাঝখানে ব্যাথা হয়ে থাকে।
৬। অনেক সময় খাবার খেলে ব্যাথাটি চলে যায়।
৭। অনেক লোকের রাতের বেলায় ব্যাথার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৮। হঠাৎ করে রক্তবমি হতে পারে।
৯। দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
১০। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর কালো পায়খানা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়
পেটে গ্যাস বলতে পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত কিংবা বৃহদান্তে অত্যধিক পরিমাণে গ্যাস জমে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হওয়াকে বুঝিয়ে থাকে। পেটে গ্যাস হওয়ার কারন বহুবিদ। এর মধ্যে রয়েছে খাবারের সাথে গৃহীত অতিরিক্ত গ্যাস, বদহজম, বাজে তেল, অধিক শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ।
এগুলো ছাড়াও আরও কিছু কারন রয়েছে যেমনঃ দেরিতে ঘুমানো, অনিদ্রাা ও অধিক মানসিক চাপ, উদ্বেগ অস্থিরতা কিংবা দুশ্চিন্তায় ভোগা। আমাদের অনেককে কায়িক পরিশ্রম বিমুখ হওয়া, অগোছালো জীবনযাপনে অভ্যস্থ হতে দেখা যায়। এই ধরনের লোকদের বেশির ভাগই গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ভোগে থাকেন।
আমাদের অনেকের অর্গানিক খাবার বাদ দিয়ে ফাস্টফুড, প্রসেস ফুড, স্টেড ফুড এবং বিভিন্ন প্রকার সফট ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখে। তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় হওয়ায় ঝুকি রয়েছে। আমরা যারা হোটেল রেস্তোর একটি তেলে বারবার রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদেরও পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য কি? কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
আশা গ্যাস্ট্রিক কেন হয় সহজেই ধারনা পেয়ে গেছি। তবে ব্যক্তিভেদে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কারণ ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় ল্যাক্টোজ ইনট্রলারেন্স অর্থাৎ দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ার কারনে পেটে গ্যাস হওয়া। আবার অনেক সময় ফ্রুক্টোজ জাতীয় খাবার অর্থাৎ মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা যেসব খাবারে সুইটস দেওয়া আছে সেগুলি খাওয়ার ফলেও পেট ফুলে যাওয়া গ্যাস হওয়া, টক ঢেকুড় হওয়া দেখা দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। কেননা গ্যাস্ট্রিকের প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প অল্প সমস্যা দেখা দিলেও আস্তে আস্তে তা খারাপের দিকে যেতে পারে। অনেকে সময় গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার, এমনকি আলসার থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই কিছু পদক্ষেপ নেন তাহলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলবে। চলুন তাহলে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলি জেনে নেইঃ
১। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সর্বপ্রথম তৈলাক্ত জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। ডুবো তেলে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। বাসি পচা, ডাবল হিটের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ডাবল হিটের খাবারে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে এই ধরনের খাবার অব্যশই পরিহার করতে হবে।
৩। যে সকল খাবারে গ্যাস হয় সে সব খাবার সাময়িক সময়ের জন্য পরিহার করতে হবে। খাবারের তালিকায় আশ বা রাফেজ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৪। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দৈনিক অন্যন্ত ২ লিটার পানি পান করতে হবে। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। পেটের অ্যাসিডিটি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে পানি একটি সহজ লভ্য উপাদান।
৫। আমাদের অনেকের বদ অভ্যাস আছে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া। খাবার খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়লে তা হজমের সমস্যা হয়। এর ফলে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয়, বায়ু আসে। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করতে রাতে খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা।
৬। মসুরের ডাল, ছোলা, বুট, সয়াবিন, পালংশাক, মূলা ইত্যাদি খাবার গ্রহণে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার পরিহার করার চেষ্টা করবেন।
৭। পেট ভর্তি করে খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে। পেট ভর্তি করে খাবার খেলে টক ঢেকুড়, বমি বমি ভাব এবং অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তবে প্রয়োজনে কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর খাবার খাওয়াই উত্তম হবে।
৮। আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খাবার গ্রহন করতে তাহলে এই পদ্ধতিটি গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করতে খাবার খাওয়ার টাইমগুলি মেনে চলা উচিত।
৯। কোনো কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার জন্য তার অতিরিক্ত ওজন দায়ী। তাই গ্যাস্ট্রিক থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
১০। আমাদের অনেকে অতিরিক্ত ধূমপান করে থাকে। অতিরিক্ত ধূমপান গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দায়ী। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ধূম্পানের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে বা পরিহার করতে হবে।
১১। রাতে ঘুমানোর সময় মাথা ও বুক কোমড়ের থেকে ১০-১২ সেন্টিমিটার রাখতে হবে। এর ফলে পাকস্থলির এসিড উপরে উঠে আসতে পারবে না। এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান মেলবে।
১২। গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে বিভিন্ন ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপাদান যেমনঃ লবঙ্গ, আদা, দারুচিনি, পুদিনা পাতা, সরিষা, মৌরি, তুলসী পাতা ইত্যাদি ব্যহার করা যেতে পারে।
১৩। আপেল সিডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ সেরা ১০টি ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
ব্যায়াম শুধু শরীরের ওজনই কমায় না বরং গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে খুবই কার্যকরী। আমাদের অনেকে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে ব্যায়ামকে বেছে নিয়েছেন। তাই আপনিও গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। চলুন তাহলে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম গুলি জেনে নেইঃ
- প্রথমে হাত দুটি সোজা রেখে সোজা হয়ে শুতে হবে। এরপর আপনাকে আস্তে আস্তে আপনার যে কোন একটি পা উপরের দিকে তোলতে হবে। পা উপরের দিকে তুলার পর হাটু ভাজ করে দুই হাত দিয়ে ধরে বুকের দিকে টেনে নিতে হবে। এরপর আপনার ঘাড় হাটুর দিকে নিয়ে ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে।

- এরপর পরের পা দিয়ে একই ভাবে ব্যায়াম করতে হবে। এভাবে ব্যায়াম করার মাধ্যমে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক দূর করা সম্ভব।
- এবার দুই পা একত্রে তুলে পূর্বের ন্যায় ২০ সেকেন্ড রাখতে হবে। তাহলে পেটে উপর চাপ পরবে পেটের মেদ, চর্বিসহ সকল প্রকার গ্যাসের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

- গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় হিসেবে এবারে হাতের কুনইয়ের উপর ভর করে মাথা বুক উপরের দিকে তোলতে হবে এবং আস্তে আস্তে মাথা নিচের দিকে নামাতে হবে। এই অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড হোল্ড করে থাকতে হবে।

এভাবে প্রতিদিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। তাই একটি নির্দিষ্ট সময়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম গুলি করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
আমাদের অনেকের গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার পরও যখন এই সমস্যা থেকেই যায় তখন বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হয়। আবার অনেকে নিজে নিজেই গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ গ্রহন করে থাকেন। কিন্তু এই ঔষুধগুলি ডাক্তার পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই রোগীর অবস্থা বুঝে ঔষধের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধের নামের তালিকা হিসেবে নিচের নামগুলি জেনে নিতে পারেন। ঔষুধ সেবনের পূর্বের ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিচের ঔষুধগুলি ব্যবহার করতে পারবেন।
- ওমেপ্রাজল
- এসওমেপ্রাজল
- রেবিপ্রাজল
- প্যান্টোপ্রাজল
- ল্যান্সোপ্রাজল
- সেকলো
- লোসেকটিল
- ম্যাক্সপ্রো
- প্যান্টোনিক্স
- জেলিডুন
- সারজেল
পরিশেষ,
ছোট, বড় সকল বয়সের লোকদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যাটি চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হলে তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথেই তা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলি মেনে চলেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আর গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য ঔষুধ খাওয়ার পূর্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। একজন ডাক্তারের দিক নির্দেশনা পালনের মাধ্যমেই চিরতরে গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।