কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের নাম হচ্ছে কিডনি। প্রতিটি মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে। এই অঙ্গটি শরীরের রক্তের ফিল্টারের মাধ্যমে মূত্র তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। সুতরাং মানবদেহে এর গুরুত্ব অত্যাধিক। কিডনিতে যদি কোন রোগ যেমনঃ কিডনি পাথর, কিডনি বিকল বা অন্য কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কিডনে রোগ হওয়ার লক্ষণ শনাক্ত করতে পারেন তাহলে এর প্রতিকার করা অনেকটাই সহজ হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
কিডনি কি
মানুষ বা মেরুদন্ডী প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ রেচন অঙ্গের নাম হচ্ছে কিডনি। এই অঙ্গটির প্রধান কাজ হচ্ছে রক্ত থেকে বজ্র পদার্থগুলোর মাধ্যমে বের করে দেওয়া। মানবদেহের সম্পূর্ণ রক্ত দিনে ৪০ বার এই মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের কিডনির ওজন ১৫০ – ১৭০ গ্রাম এবং নারীর ১৩০ – ১৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। বাম কিডনি ডান কিডনি থেকে কিছুটা বড় হয়ে থাকে।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমান সময়ে মানুষ যে সব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তার মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। এই রোগ মানবদেহকে নীরবেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে।যে কোন রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধ করার পূর্বে তার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা থাকতে হবে। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা নিয়ে নেওয়া যাক।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াঃ কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রসাব হওয়াল। যদিও যাদের ডায়াবেটিস এর সমস্যা রয়েছে তাদেরও ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে। তবে যাদের কিডনিতে প্রব্লেম আছে তাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপুড়া হবে। তার অল্প অল্প করে ঘন ঘন প্রসাব হবে।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়াঃ সাধারনত কিডনি রোগীদের রক্ত ফিল্টেশনের সমস্যা হয়ে থাকে। রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে সমস্যা হয়। তবে অনেক সময় প্রসাবের সাথে সাথে রক্ত আসতে পারে। প্রসাবে রক্ত বের হওয়া কিডনি রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন টেস্টের মাধ্যমে তা নির্দিষ্ট হওয়া যায়। বেশির ভাগ সময় প্রসাবের সাথে রক্ত যাওয়া কিডনিতে টিউমার, কিডনিতে পাথর বা ইনফেশনের কারনে হয়ে থাকে।
- ক্ষুধামন্দাঃ যে সব রোগী কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের খাবারের রুচি কমে যায়। জন্ডিসের রোগীর মত খাবার গন্ধ লাগতে পারে। পেট ফাপ ধরা বা গ্যাস হয়েছে এমন অনুভব হয়। কিডনিতে রোগ হলে কিডনির কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে ফলে দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না। তাই পেট ভরা ভরা মনে হয়। খাবারের রুচি কমে যায়।
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফেটে যাওয়াঃ কিডনির কাজ হচ্ছে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া। এর পাশাপাশি দেহের প্রযোজনীয় পানি ও প্রোট্রিন শোষন করে রাখা। কিন্তু কিডিনি যখন তার কাজ করায় বাধাগ্রস্থ হয় তখন দেহের প্রয়োজনীয় পানি শোষণ করে রাখতে পারে না। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফেটে যায়। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
- শরীরে ওজন হ্রাস পাওয়াঃ কিডনি রোগীর ওজন কমে যাওয়া অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাধারণত কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ ক্ষুধামন্দা। যখন একজন মানুষ ক্ষুধামন্দা সমস্যায় ভুগতে থাকেন তার ওজন এমনিতেই কমে যায়। এছাড়াও যে সকল মানুষের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের ঘুমের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে দেহের ওজন কমতে পারে এবং নানাবিধ শারীরবৃত্তীয় কাজের বাধার সৃষ্টি হয়।
- শরীরের বিভিন্ন অংশ পানি জমে ফুলে যাওয়াঃ কিডনিতে টিউমার, পাথর এবং কিডনি বিকলাঙ্গ হলে স্বাভাবিক রেচন প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি হয়। রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। এর ফলে দেহের বিভিন্ন অংশে পানি জমে ফুলে যায়। বিশেষ করে হাত, পা ও মুখে পানি আসতে দেখা যায়। এতে একজন মানুষ যে কিডনির রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক ধারণাই এর থেকে মুক্তি দিতে পারে।
- শরীরে ক্লান্তিভাব আসাঃ মানব দেহে যখন কোন রোগ বাসা বাঁধে তখন তার প্রতিদিনের কার্যক্রমের পরিবর্তন আসে। শরীর তার পূর্বের মতো কাজ করতে পারে না। শরীরে অস্থিরতা ও ক্লান্তিবোধের সৃষ্টি হয়। তেমনি একজন লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে তারও কোন ব্যতিক্রম ঘটে না। কিডনি রোগের লক্ষণ হিসেবে শরীরে ক্লান্তির ছায়া দেখা দিতে পারে এবং শরীর দুর্বল লাগাসহ ও মাথা ঘোরাতে পারে।
- ঘুম কম হওয়াঃ একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় ঘন্টা ঘুমাতে হয়। কিন্তু যখন শরীরে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয় ঘুমের পরিমাণও কমে যায়। তেমনি একজন মানুষ যখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তার ঘুমের পরিমাণও দিন দিন কমতে থাকে। তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ঘুম কম হওয়াকে কিডনি রোগের লক্ষণ হিসেবে ধারণা করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ৯টি মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ ও মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়
- মাংসপেশিতে খিঁচুনি হওয়াঃ অনেক সময় হঠাৎ করে শরীরে খিচুনি দেখা দিতে পারে। যা কিডনি রোগীর অন্যতম প্রধান লক্ষণ। মাঝেমাঝে শরীরে খিঁচুনিসহ পিঠে ব্যথা কিডনি রোগের পূর্বাভাস বলে ধারণা করা হয়। কিডনি সমস্যা দেখা দিলে শরীরে ইলেক্টোলাইট অর্থাৎ ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে মাংসপেশিতে খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। আপনি যদি কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অবগত থাকেন তাহলে এর থেকে মুক্তি পেতে সহজ হবে।
- জ্বর বা জ্বর জ্বরভাব লাগাঃ কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরে থেকে থেকে জ্বর হওয়া। এমনকি হঠাৎ করে কাপুনি সহ জ্বর আসতে পারে। তাই শরীরে জ্বর দেখামাত্র বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- বমি হওয়াঃ অনেক সময় কিডনি রোগীর বমি বমিভাব কিংবা মুখ ভরে করতে দেখা যায়। তাই দীর্ঘদিন আপনার বমি বমিভাব বা বমি হলে সর্তক হতে হবে।
কিডনি রোগীর খাবার
আপনি যদি কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তাহলে খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একজন কিডনি রোগীর খাবার নির্বাচনে অক্সালিক এসিড ফলিক এসিড ওপটাশিয়ামের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি বিবেচনা রাখতে হবে। যে সকল খাবারে এই ধরনের উপাদান উপস্থিত পরিহার করতে হবে।
একজন কিডনি রোগির প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ৫০থেকে ১০০ গ্রাম ফল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি, পাকা পেঁপে, কমলা, আনারস ওবেল খেতে পারবে।
ফলমূলের পাশাপাশি মাছ-মাংস ও শাকসবজির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবজি হিসেবে ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, পটল, চালকুমড়া, ডাটা, লাউ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে মিষ্টি কুমড়া, আলু, কাঁচা পেপে, করলা গাজর, টমেটো, মুলা সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করে খেতে হবে।
কিডনি রোগীর খাবার তালিকা থেকে গরু, মহিষ এর মাথার মগজ, কলিজা বাদ দিতে হবে। সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক মাছের ডিম ও চিংড়ি মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সকল প্রকার কোমল পানীয়, হরলিক্স অর্থাৎ ফর্মুলা খাদ্য পরিহার করতে হবে।
কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আপনি যদি কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে নিচের বিষয়গুলি মেনে চলেন তাহলে সহজেই কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। চলুন তাহলে কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া চিকিৎসাগুলি জেনে নেই।
বেশি বেশি পানি পানঃ প্রতিদিন তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। বেশি বেশি পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেলে কিডনি সতেজ হয়। কিডনি ঠিক মত কাজ করার সুযোগ পায়। মূত্রের রং খয়েরি রং মত রাখতে হবে। মূত্রের রঙ্গের কোন ধরনের পরিবর্তন হলে পানি বা তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কিডনি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আপনি যে খাবার খাচ্ছেন খাবারটি স্বাস্থ্যকর খাবার কি না এই সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কোন প্রকার ফর্মূলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ নাক ডাকা বন্ধ করার উপায়, নাক ডাকার কারণ ও চিকিৎসা
অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহারঃ আমাদের অনেকের ধারনা চর্বি জাতীয় খাবার শুধু হার্টের রোগের সৃষ্টি করে। হার্ট ছাড়াও কিডনি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রোগ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে কিডনির সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিয়মিত রক্তের চাপ পরিমাপ করে নিতে হবে। রক্তের চাপ বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ধুমপান পরিহার করাঃ কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া রোগীর অধিকাংশ রোগীই ধুমপান, মদ্যপান জড়িত থাকতে দেখা যায়। তাই অ্যালকোহল জাতীয় সকল প্রকার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি যদি চেইন স্মোকার হয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই তা পরিহার করার অভ্যাস করুন।
শরীরকে স্লিম রাখাঃ কিডনিকে ভাল রাখতে স্লিম থাকতে হবে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন শরীরের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার কারন। আর উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের ঝুকি বাড়ায়। খাবার পরিমিত পরিমানে খেয়ে এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে স্লিম রাখতে হবে।
কিডনি রোগের ঔষধের নাম
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ , একিউট কিডনি ডজিজ বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টেশন ধরনের উপর ভিত্তি করে কিডনি রোগের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা রোগীর রোগের ধরনে উপর ভিত্তি করে ঔষধের মাত্রা ও ব্যবহারবিধি সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তবে সর্বাধিক ব্যবহৃত কিডনি রোগের ঔষধের নাম এর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডাইক্যালট্রল, রোকালট্রল, ক্যালসিট্রল ঔষধ। তবে যে কোন ঔষধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
যে সকল নারী ও পুরুষের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও নেফ্রাইটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুকি রয়েছে। তাই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে তাদের পূর্বে থেকে ধারন রাখতে হবে। আপনি যদি কিডনি রোগ থেকে প্রতিকার পেতে চান আপনাকে অবশ্যই নিচের নির্দেশনাগুলি মেনে চলতে হবে।
১। সর্বপ্রথম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
২। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
৩। রক্তের কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমাতে হবে।
৪। অতিরিক্ত পেইনকিলার এবং ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫। অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে শেষকথাঃ
কিডনি মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রেচন প্রক্রিয়ায় দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে পানি ও খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও আমরা যে খাবার খাই তা থেকে রক্ত তৈরি এবং পানি ও খনিজ লবণকে শররীরের সাথে মিশে যেতে সাহায্য করে। তাই কিডনি যে কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে। যে কিডিনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে কোন একটি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।