ইন্টারনেট

অপারেটিং সিস্টেম কি? কত প্রকার, বৈশিষ্ট্য, কাজ, সুবিধা সম্পর্কে জানুন

সম্মানিত পাঠক/ পাঠিকা! আপনি কি কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম কি তা জানতে চান? প্রতিটি ডিভাইসে কেন অপারেনটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়? অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে আপনার জন্য আজকের ফিচার পোষ্টের আয়োজন। এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি আপনি আপনার সকল প্রশ্নে উত্তর পেয়ে যাবেন। চলেন, তাহলে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

অপারেটিং সিস্টেম কি

প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের আবিষ্কার হচ্ছে। এসব ডিভাইস পরিচালনার জন্য অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন। অপারেটিং সিস্টেম কি এবং এর কাজ বুঝতে হলে প্রথমে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

কম্পিউটার, মোবাইল কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল ধরণের যন্ত্রপাতিকে হার্ডওয়্যার বলে। যেমনঃ কি বোর্ড, মাউস, মাদাবোর্ড, কেসিং, রম, সিডি, ডিভিডি, ইত্যাদি। অন্যদিকে, কম্পিউটারের সকল প্রকার প্রোগ্রামগুলিকে সফটওয়্যার বলে। যেমনঃ পেইন্ট, MS WORD, WINDOS ইত্যাদি। এই সফটওয়্যারগুলি হাই লেভেলের ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার একটি অপরটির পরিপূরক। তাই এদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার প্রয়োজন হয়। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার যাতে একে অপরের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেই কাজটি অপারেটিং সিস্টেম করে থাকে। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন Oparating System কি?

অপারেটিং সিস্টেম বলতে কি বুঝায়

ইংরেজি Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পরিচালনা করা, অন্যদিকে System শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পদ্ধতি। অর্থাৎ,যে System Software টি Hardware, Software ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে Computer এর সকল প্রকার কার্যপ্রণালী পরিচালনা করে তাকে Oparating System বা সংক্ষেপে OP বলে।

কম্পিটার এবং স্মার্টফোনের মধ্যে আলাদা আলাদা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেম এই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। Windows, Dos, Linux, Unix হলো কম্পিউটারের সবথেকে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। অন্যদিকে, Android, Ios হলো স্মার্টফোনের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।

অপারেটিং সিস্টেমের ইতিহাস

বর্তমান সময়ের সবথেকে বহুল ব্যবহৃত ও অতি পরিচিত ডিভাইসটির নাম হচ্ছে কম্পিউটার। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে। পূর্বে কম্পিউটার নামক যন্ত্রটি হিসাবকারী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এখন এর কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকার অনলাইন কাজ এবং ডেটা এন্ট্রির মত কাজও অল্প সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানের যে আধুনিক কম্পিউটার দেখা যায় তা একদিনে আবিষ্কার হয় নি।

অপারেটিং সিস্টেমের ইতিহাস কম্পিউটারের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৮৮২ সালে বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ প্রথম কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। এর পরবর্তীতে, ১৯৫২ সালে আইবিএম (IBM) কোম্পানি সর্বপ্রথম মেইনফ্রেম কম্পিউটার তৈরী করে। ১৯৪০ থেকে ১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে কোনো অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াই ইলেকট্রনিক কম্পিউটার ব্যবহার করা হত।

তবে মজার বিষয় হচ্ছ আইবিএম এর আবিষ্কৃত কম্পিউটারটিও কোন অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগে, তাহলে কম্পিউটারের মাধ্যমে কিভাবে জটিল কাজের সমাধান করা হতো? তখন ইউজার সমস্যা অনুযায়ী প্রোগ্রাম এবং ডেটা তৈরি করত, এরপর সরাসরি হার্ডওয়্যারের সাথে সুইচ, টেপ বা পাঞ্চড কার্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল বের করত।

টেপ বা পাঞ্চড কার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের কাজ করতে অনেক সময় লেগে যেত। তাই সময়ের অপচয় কমাতে অপারেটিং সিস্টেমে তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে অপারেটিং সিস্টেমের বিকাশ এবং বিবর্তন হতে শুরু করে।অপারেটিং সিস্টেমের এই বিবর্তনকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা যায়।


১। প্রথম প্রজন্ম (1950 – 1960): দ্বিতীর বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো ডিজিটাল ছিল না। তাই সে সময় গণনা করা ইঞ্জিন যা যান্ত্রিক রিলে ব্যবহার করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করত। এই যান্ত্রিক রিলেগুলি অত্যন্ত ধীর প্রকৃতির হওয়ায় ভ্যাকুয়াম টিউব এবং প্লাগবোর্ড দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়। এই ভ্যাকুয়াম টিউব এবং প্লাগবোর্ড অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।

২। দ্বিতীয় প্রজন্ম (1960 – 1970): অপারেটিং সিস্টেমের দ্বিতীয় প্রজন্মটি 1955 থেকে 1965 সালের দিকে শুরু হয়েছিল। এই সময়ে তৈরি অপারেটিং সিস্টেমগুলি বেশ জটিল ছিল এবং সাধারণত কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের সাথে আরও ঘনিষ্ঠ ছিল। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ দশকের শেষের দিকে, থমসন ও ডেনিস রিচির নেতৃত্বে Unix অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার হয়। এই অপারেটিং সিস্টেমটি অ্যাসেম্বলি ভাষায় লেখা হয়েছিল।

৩। তৃতীয় প্রজন্ম (1970 – 1980): 1965-1980 সালের দিকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এবং মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেমের সূচনা হয়েছিল। তবে অপারেটিং সিস্টেমগুলি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ করত।

এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেম মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। মাল্টিপ্রোগ্রামিংয়ের প্রবর্তন অপারেটিং সিস্টেমের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। যা একই সাথে একক কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে CPU-কে সব সময় ব্যস্ত থাকতে দেয়। এর ফলে সময়ের অপচয় অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল।

৪। চতুর্থ প্রজন্ম (1980 – বর্তমান): চতুর্থ প্রজন্মকে কম্পিউটারের অপারেটিং সিসেমের আধুনিক যুগ বলা হয়ে থাকে। এই যুগের ব্যক্তিগত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমগুলি ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। শুরুর দিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের অনেক বেশি দাম ছিল। মাইক্রোসফ্ট এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্ম ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বিকাশর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এই প্রজন্মের অপারেটিং সিস্টেমে, 1975 সালে মাইক্রোসফ্ট প্রথম উইন্ডো অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে। মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তৈরির পর, বিল গেটস এবং পল অ্যালেন ব্যক্তিগত কম্পিউটারকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারা 1981 সালে MS-DOS প্রবর্তন করেছিল, যদিও অনেক ব্যক্তির পক্ষে এর কমান্ড বোঝা অনেক কঠিন ছিল। এর পরবর্তীতে, উইন্ডোজ দ্বারা একাধিক অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়। যেমনঃ Windows 95, Windows 98, Windows XP, ইত্যাদি।

বর্তমানে অধিকাংশ Windows ব্যবহারকারীই Windows 10 অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। উইন্ডোজ ছাড়াও,1980-এর দশকে অ্যাপল একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছিল, যা ম্যাকিনটোশ ওএস নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে,সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেমের নাম হচ্ছেঃ Windows OS, Mac OS, Android OS , Ubuntu, IOS, Linux OS, MS-DOS, Symbian OS ইত্যাদি।

অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি?

প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। এর ফলে নতুন নতুন অপারেটিং সিস্টেমের আবিষ্কার হচ্ছে। তাই বিভিন্ন ধরণের অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার রয়েছে। চলুন তাহলে অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি জেনে নেওয়া যাকঃ

সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমগুলিকে ৮ প্রকারের ভাগ করা থাকে। এগুলি নিচে উল্লেখ করা হলঃ

১। ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেমঃ
1970 এর দশকের শুরুর দিকে যে অপারেটিং সিস্টেমের আর্বিভাব ঘটে তা ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম নামে পরিচিত ছিল। এই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে না। এতে এমন একটি অপারেটর রয়েছে যা একই ধরনের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একই ধরনের কাজ করে নেয় এবং তা পরবর্তীতে ব্যাচ অনুযায়ী গ্রুপ করে।

ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেমের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ পরিচালনা করা যায়। এছাড়া এর অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে এটি অনেক ব্যয়বহুল এবং এর ডিবাগ করা কঠিন। ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ: পেরোল সিস্টেম, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।

২। মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেমঃ
মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম হল ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেমের এক্সটেনশন। যেখানে CPU সবসময় কাজ করতে থাকে। প্রতিটি প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য CPU সময় এবং IO সময় এই দুই ধরণের সিস্টেম সময় প্রয়োজন হয়।একটি মাল্টিপ্রোগ্রামিং পরিবেশে, যখন একটি প্রসেস তার আউটপুট বা ইনপুট(I/O) করে, তখন CPU অন্যান্য প্রসেসের কাজ করতে পারে। তাই মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেমের দক্ষতা অনেক বেশি উন্নত। মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম Response Time কমাতে সাহায্য করে। এই সিস্টেমে এর অন্যতম অসুবিধা কাজ চলাকালীন অন্য কোনো ইনপুট গ্রহন করতে পারে না।

৩। মাল্টি প্রসেসিং সিস্টেমঃ

মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে সমান্তরাল কম্পিউটিং অর্জন করা হয়। এই সিস্টেমে একাধিক প্রসেসর রয়েছে যা একই সময়ে একাধিক প্রক্রিয়া চালাতে পারে।এর ফলে সিস্টেমের থ্রুপুট বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে কম সময়ে বেশি কাজ করা যায়। মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা হচ্ছে এটি বেশ জটিল এবং অত্যাধুনিক হওয়ায় একই সাথে একাধিক CPU-এর যত্ন নেয়।

৪। মাল্টি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেমঃ
মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম হল একটি রাউন্ড-রবিন শিডিউলিং অ্যালগরিদম।অপারেটিং সিস্টেম একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে পারে। বর্তমানে দুই ধরণের মাল্টি-টাস্কিং সিস্টেম রয়েছে। যেমনঃ এডভ্যান্স মাল্টি টাস্কিং এবং সহযোগী মাল্টি টাস্কিং।

অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি
অপারেটিং সিস্টেম কত প্রকার ও কি কি

মাল্টি-টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা হচ্ছে একাধিক প্রোগ্রাম একসাথে চালানো যায়। এর ফলে সঠিক মেমোরি ম্যানেজমেন্ট হয়। অন্যদিকে এই অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা হচ্ছে একাধিকবার ভারী প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সিস্টেমটি উত্তপ্ত হয়ে যায়।

৫। টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমঃ
একটি কম্পিউটারকে কাজ সম্পাদন করার জন্য কিছু সময় দেওয়া হয় যাতে সমস্ত কাজ সুচারুভাবে কাজ করতে পারে। এর ফলে প্রতিটি ইউজার সিপিইউর সময় পায়। কারণ, তারা একটি একক সিস্টেম ব্যবহার করে কাজ করে। এই সিস্টেমগুলি মাল্টিটাস্কিং সিস্টেম নামেও পরিচিত। কাজটি এক বা একাধিক ইউজারের মাধ্যমে হতে পারে। এছাড়া প্রতিটি কাজ সম্পাদনের জন্য যে সময় পাওয়া যায় তাকে কোয়ান্টাম বলে। এই সময়ের ব্যবধান শেষ হওয়ার পর ওএস পরবর্তী টাস্কে চলে যায়।
Time-sharing OS এর সুবিধা হচ্ছে প্রতিটি কাজ করার জন্য সমান সুযোগ পায় এবং সফ্টওয়্যার নকল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেক সময় এই সিস্টেমে তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৬। ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেমঃ
এই অপারেটিং সিস্টেমটি স্বায়ত্তশাসিত তবে আন্তঃসংযুক্ত কম্পিউটারগুলির উপর ভিত্তি করে যা সংযুক্ত তার বা নেটওয়ার্কের ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। প্রতিটি স্বায়ত্তশাসিত সিস্টেমের নিজস্ব প্রসেসর রয়েছে যার আকার, আকৃতি এবং ফাংশনে ভিন্ন হতে পারে।

ডিস্টিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেমে রিয়েল টাইমে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন এবং একাধিক ব্যবহারকারীকে পরিবেশন করে। ডেটা প্রসেসিং ফাংশন তারপর প্রসেসর জুড়ে ডিস্ট্রিবিউট হয়। ডিস্ট্রিবিউশন অপারেটিং সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো হোস্ট কম্পিউটারে লোড কমিয়ে দেয় এবং এর অসুবিধা হল ইনস্টল করা অনেক ব্যয়বহুল।

৭। নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমঃ
নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমে সফ্টওয়্যার এবং সংশ্লিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে যা একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই সিস্টেমগুলি একটি সার্ভারে চলে এবং ডেটা, ইউজার, গোষ্ঠী, নিরাপত্তা, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য নেটওয়ার্কিং ফাংশনগুলি পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদান করে। এই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমগুলি একটি ছোট প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ফাইল, প্রিন্টার, নিরাপত্তা, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য নেটওয়ার্কিং ফাংশনে শেয়ার্ড অ্যাক্সেসের অনুমতি দেয়।

নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নতুন প্রযুক্তি এবং হার্ডওয়্যার আপ গ্রেডেশন সহজেই সিস্টেমে একত্রিত হয়ে থাকে।নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা হচ্ছে এই সার্ভারগুলি অনেক ব্যয়বহুল।নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ হল Microsoft Windows Server 2003, Microsoft Windows Server 2008, UNIX, Linux, Mac OS X, Novell NetWare, BSD, ইত্যাদি।

৮। রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেমঃ
রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেমে ইনপুট প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রয়োজনীয় সময়ের ব্যবধান খুবই কম। এই সময়ের ব্যবধানকে প্রতিক্রিয়া সময় বলা হয়। ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম, রোবট ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে রিয়েল-টাইম সিস্টেমগুলি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেমকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। এর প্রকারভেদ হলঃ হার্ড রিয়েল-টাইম সিস্টেম এবং সফট রিয়েল-টাইম সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম কি? কত প্রকার, বৈশিষ্ট্য, কাজ, সুবিধা সম্পর্কে জানুন
অপারেটিং সিস্টেম কি? কত প্রকার, বৈশিষ্ট্য, কাজ, সুবিধা সম্পর্কে জানুন


রিয়েল- টাইম অপারেটিং সিস্টেমগুলি সম্পূর্ণ ধরনের সিস্টেম ত্রুটি-মুক্ত। এর অন্যতম উদাহরণ হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, চিকিৎসা ইমেজিং সিস্টেম, শিল্প নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, অস্ত্র ব্যবস্থা, রোবট, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ

Oparating Software হচ্ছে একটি System Software। একে সংক্ষেপে OS বলা হয়ে থাকে। ইউজারের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম পরিচলনা হচ্ছে এর প্রধান কাজ। একটি কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের কাজ যেমনঃ বিভিন্ন সফটওয়্যার চালানো, গান শোনা, গেম খেলা সব কিছুই অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে, অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

অপারেটিং সিস্টেম এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ করা হয়ে তাকে। চলুন তাহলে অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ কি কি জেনে নেইঃ

১। User Interphase: অপারেটিং সিস্টেমের প্রাধান কাজ হচ্ছে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ইউজারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। এছাড়াও OS কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান, এবং সফটওয়্যারগুলোর পরিচালনা করতে সাহায্য করা। বর্তমানে সকল প্রকার ডিভাইসে তিন প্রকারের ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ কমান্ডচালিত, মেনুচালিত এবং গ্রাফিক্যাল ইউজার।

কমান্ড চালিত ইউজার কম্পিউটারের সাথে টেক্সট-ভিত্তিক ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করা, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এর সংস্থানগুলি পরিচালনা করা এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। মেনু ইউজার কম্পিউটারের সাথে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার চালানো, বিভিন্ন ধরণের ফাইল চলানো এবং কম্পিউটারের সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করা ইত্যাদি কাজ করে থাকে।


২। USer Management: Oparating System এক বা একাধিক ইউজার ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করে থাকে। এর ফলে একই সাথে একাধিক ফাইল ওপেন করা, সেগুলি পড়া এমনকি লেখার মত কাজ করাও সম্ভব হয়। এছাড়াও এর মাধ্যমে নিরাপত্তা উন্নত করা, দক্ষতা বাড়ানো এবং ইউজার, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ উন্নত করা যায়।


৩। Inpout- Output Management: একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন আউটপুট এবং ইনপুটের উপর ভিত্তি করে কাজ করে থাকে। একজন ইউজার যে ইনফর্মেশন ইনপুট দিবে সেই অনুযায়ী অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে তার আউটপুটে প্রদর্শন করবে। কি বোর্ড, মাউস ইত্যাদির মাধ্যমে কম্পিউটার ইনপুট গ্রহন করে। এরপর অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যারকে সেই অনুযায়ী দিক নির্দেশনা দেয়। প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার আউটপুট প্রদান করে থাকে।


৪। Task Management: অপারেটিং সিস্টেম এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে টাক্স ম্যানাজেমেন্ট করা। ইউজার যে ইনপুট দেয় তার বিশ্লেষণ, বিভিন্ন এরোর মিনিমাইজ করা ইত্যাদি কাজ করে থাকে। এর ফলে সর্বোচ্চ ত্রুটিবিহীন ফলাফল পাওয়া যায়।

অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ
অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ


৫। Resourse Management: একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের ডিরেক্টরি থাকে। কোনটি সফটওয়্যার, কোনটি ফাইল ও কোনটি হার্ডওয়্যারের ম্যান্যাজেমেন্ট এর কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব কাজে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


৬। Memory Management: একটি কম্পিউটারে দুই ধরণের ম্যামোরি থাকে। এগুলি হচ্ছে প্রাইমারি মেমোরি এবং সেকেন্ডারি মেমোরি। অপারেটিং সিস্টেম এই দুই ধরণের মেমোরিকে ম্যানেজ করে থাকে। এর ফলে কম্পিউটারের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ইউজারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোন কোন ফাইলে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণে সহযোগিতা করে থাকে।


৭। File Management: ফাইল ম্যানেজ করা অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ গুলো মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একটি ফাইলে অনেক ধরণের তথ্য থাকে। এসব তথ্য বা ডেটার আদান প্রদান করা, সংরক্ষণ করা ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম এর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও স্টোরেজ,নামকরণ, মুছে ফেলা, পুনরুদ্ধার, শেয়ারিং,ফাইলগুলোর প্রটেকশন ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেম মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।


৮। Communication Management: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে পৃথিবীর সকল কম্পিউটার একটি অপটির সাথে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। এর ফলে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের মধ্যে বিভিন্ন তথ্যের আদান প্রদান করা সহজ হয়। তাই কমিউনিকেশন ম্যান্যাজেমেন্টে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


৯। Utilities: অপারেটিং সিস্টেম শুধু হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে না। এটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি সুবিধা দিয়ে থাকে। এর সাহায্যে ডেটা কম্পেশন, ফাইল ডিফ্রাগমেন্টেশন এমনকি ডেটা রিকভারি করা যায়।


১০। Security: কম্পিটারে ইজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডেটা, ছবি, ফাইল ইত্যাদি থাকে। এসব ইফরমেটিভ তথ্যগুলোর সুরক্ষা দেওয়া অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ। এটি একাধিক ইউজার থেকে কম্পিউটারকে প্রটেক্ট করে থাকে। সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট এর সাহায্যে ডেটা চুরি বা নষ্ট হাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায়। এটি কম্পিউটারকে ভাইরাস বা ম্যালোয়ার থেকে সবোর্চ্চ সুরক্ষা দেয়।

১১। Job Counting: জব কাউন্টিং প্রক্রিয়াটি অপারেটিং সিস্টেমটমের রানিং প্রক্রিয়াগুলির সংখ্যা গণনা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি অপারেটিং সিস্টেমের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা, সিস্টেমের লোড ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ডেটার নিরাপত্তা, সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

১২। Corruption Solve: কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিভিন্ন ধরণের বাগ(Bug) এর সম্মুখীন হতে হয়। অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ হলো প্রোগ্রামের ভুল ত্রুটি খুঁজে বের করে তা দূর করা অর্থাৎ, ডিভাগিং করা। এটি ডিভাগিং এর পাশাপাশি Corruption Solve এর কাজও করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য

নিচে অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করা হলোঃ

১। অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি System Software।

২। এর মাধ্যমে খুব সহজেই Network management করা যায়।

৩। একটি Computer বা Mobile এর সমস্ত কাজ কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তা Oparating System এ প্রোগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।

৪। এর অন্যতম কাজ হচ্ছে Input এবং Output ডিভাইস এর রিসোর্স নিয়ন্ত্রণ করা।

৫। এটি Cpu এর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

৬। OS ছাড়া সকল কম্পিউটার বা স্মার্টফোনগুলি অচল। তাই সমস্ত কম্পিউটারে প্রথমেই Oparating System ইন্সট্রল করতে হয়।

৭। এটি Memory managemanent এ সহযোগিতা করে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার

বর্তমান সময়ের আধুনিক ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিতে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার ছাড়া উন্নত প্রযুক্তির চিন্তাই করা যায় না। প্রায় প্রতিটি ডিভাইসে Operating System এর ব্যবহার রয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার গুলি হলোঃ

১। ওয়ার্ড প্রসেস করাঃ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ওয়ার্ড প্রসেসিং করা হয়।

২। কমপ্লেক্স ডেটা প্রসেস করাঃ এটি কম্পেক্স ডেটা প্রসেস এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩। ভিডিও প্রসেস করাঃ ভিডিও প্রসেস করতে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৪। ইমেজ প্রসেস করাঃ যে বস্তুর ছবি প্রসেস করতে এটি ব্যবহার করা হয়।

৫। গেমস খেলাঃ ছোট বাচ্চাদের গেমিং ডিভাইসে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহার রয়ছে।

৬। যোগাযোগ করাঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অপারেটিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

৭। অ্যানিমেশন ও সিমুলেশন করাঃ অ্যানিমেশন এবং ডেটা সিমুলেনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজে এর ব্যবহার রয়েছে।

৮। ডিজাইন এবং মার্কেটিং করাঃ ডিজাইন এবং মার্কেটিং এর কাজে অপারেটিং সিস্টেম এর কাজ রয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম এর সুবিধা

অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গার এর ব্যবহার আধুনিক প্রযুক্তিকে আরও গতিশীল করে দিয়েছে। নিচে অপারেটিং সিস্টেম এর সুবিধা গুলি উল্লেখ করা হলোঃ

১। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার বা স্মার্টফোনকে গতিশীল এবং ব্যবহারপোযোগী করে তোলে।
২। অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজের সিরিয়াল করা হয়। অর্থাৎ, কোন কাজটি আগে হবে এবং কোন কাজটি পরে হবে তা খুব সহজেই মেনটেন্ট করা যায়।
৩। অপারেটিং সিস্টেম ক্লায়েন্ট এবং সরঞ্জামের মধ্যে ইন্টারফেস প্রদান করে।
৪। অপারেটিং সিস্টেম প্রিন্টার, মডেম ইত্যাদির মাধ্যমে অন্যান্য ইউজারের সাথে ডেটা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করার অনুমতি দেয়।
৫। একটি অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করে সেগুলি চালানোর অনুমতি দেয়।
৬। একটি অপারেটিং সিস্টেম সার্ভার কাজগুলি একই সাথে পরিচালনা করতে পারে
৭। এটি ব্যবহারকারীদের একই সময়ে একই সময়ে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে দেয়।

অপারেটিং সিস্টেম এর অসুবিধা

অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে অপারেটিং সিস্টেম এর অসুবিধা গুলি উল্লেখ করা হলোঃ

১। অপারেটিং সিস্টেমে কোনো সমস্যা হলে আপনি আপনার সিস্টেমে সংরক্ষিত সমস্ত সামগ্রী হারাতে পারেন।
২। অপারেটিং সফ্টওয়্যার ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ব্যয়বহুল।
৩। অপারেটিং সিস্টেম অত্যন্ত জটিল, এবং সিস্টেমগুলিকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহৃত ভাষাটি স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়।
৪। ভাইরাস আক্রমণ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য হুমকি বেশি কারণ । অনেক ব্যবহারকারী তাদের সিস্টেমে ম্যালোয়ার সফ্টওয়্যার প্যাকেজ ডাউনলোড করে যা অপারেটিং সিস্টেমের কার্যকারিতা বন্ধ করে দেয় এবং এটি কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়।

পরিশেষে,

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম কি? এর কাজ, ব্যবহার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে  গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে নিবেন। এই সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন থাকলে, কমেন্ট করুন। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার কমেন্টের উওর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button